করোনা সংক্রমণের মধ্যেই বেনজির কীর্তি গৌতম গম্ভীরের। নিজের বাড়ির পরিচারিকার মৃত্যুর পর শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন তারকা ক্রিকেটার। লকডাউনের মধ্যে পরিচারিকার মৃতদেহ ওড়িশার নিজের বাড়িতে পৌঁছানো সম্ভব নয়। সেই কারণেই শেষকৃত্যের দায়িত্ব নিলেন তারকা ক্রিকেটার।
নিজের টুইটার পেজে গম্ভীর তার বাড়ির পরিচারিককে নিয়ে আবেগঘন পোষ্টও করেছেন। গত ছয় বছর ধরে গম্ভীরের বাড়ির সামলাচ্ছিলেন ওড়িশার বাসিন্দা সরস্বতী পাত্র।
টুইটারে গম্ভীর লেখেন, "আমার বাড়ির কচি কাঁচাদের দায়িত্ব নেওয়া মোটেই পরিচারিকার কাজ নয়। উনি আমাদের পরিবারের অংশ হয়ে গিয়েছিলেন। তাই ওঁর শেষকৃত্য আমার দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।"
পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, "জাতি, ধর্ম, বর্ণের পরিবর্তে সবসময় মানবিক সম্মানকে উপরে রেখেছি। এটাই ভালো সমাজ তৈরি করতে পারে। এটাই আমার কাছে ভারতবর্ষ। ওম শান্তি।"
ওড়িশার সংবাদ মাধ্যমে জানা গিয়েছে, সরস্বতী পাত্র জাজপুর জেলার বাসিন্দা। অনেকদিন ধরেই উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। কিছুদিন আগেই গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। গত ২১এপ্রিল মৃত্যু ঘটে তাঁর।
বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য ধর্মেন্দ্র প্রধান নিজেও ওড়িশার বাসিন্দা। তিনি পরে টুইট করেন, "অসুস্থ থাকাকালীন সরস্বতী দেবীর পুরো দায়িত্ব নিয়েছিলেন গম্ভীর। লকডাউনের মধ্যে তাঁর মৃতদেহ ওড়িশায় পাঠানো সম্ভব নয় এটা জানার পর সম্মান রক্ষার্থে নিজেই শেষকৃত্য করেছেন। দরিদ্র মানুষের প্রতি ওর সহানুভূতি, লক্ষ লক্ষ মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার মতো কাজের জন্য গোটা সমাজ গম্ভীরকে কুর্নিশ করছে।"