ভারতীয় ক্রিকেটে ব্যক্তি পূজার ট্র্যাডিশনের বিরুদ্ধে ফের সরব হলেন গৌতম গম্ভীর। বলে দিলেন মিডিয়ার উচিত বিরাট কোহলি, এমএস ধোনিদের নিয়ে মাতামাতি বন্ধ করে বাকিদেরও ফোকাস করুক। ধোনির নাম সরাসরি না নিয়েও গৌতম গম্ভীর স্পষ্ট ভাষায় বলে দিলেন, এক ক্রিকেটার এবং তাঁর পিআর টিম ২০০৭ এবং ২০১১-য় ওয়ার্ল্ড কাপ জয়ের জন্য সম্পূর্ণ তাঁকে কৃতিত্ব দিয়েছিল। ঘটনা হল, যুবরাজ সিং-ই দু-বার ভারতকে ফাইনালে পৌঁছতে সাহায্য করে।
নিউজ-১৮'কে গম্ভীর সরাসরি বলে দেন, "ও বারবার বলে ও (ধোনি) নাকি বিশ্বকাপ এনে দিয়েছে। তবে আমি বিশ্বাস করি যে আমাদের দুটো বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেছিল সে যুবরাজ সিং। ও তো দুটো টুর্নামেন্টেরই সিরিজ সেরা হয়েছিল মনে হয়। যদিও আমি নিশ্চিত নই।"
আরও পড়ুন: ধোনির প্রশংসা শুনেই জ্বলে উঠল গা! কুরুচিকরভাবে বিতর্কের দাবানল জ্বালিয়ে দিলেন হরভজন
ঘটনা হল, ২০১১-এ বিশ্বকাপে যুবরাজ ম্যান অফ দ্যা সিরিজ হলেও ২০০৭ টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপের সিরিজ সেরা হন শাহিদ আফ্রিদি। গম্ভীর আরও বলেছেন, "আমরা যখনই ২০০৭ কিংবা ২০১১ বিশ্বকাপের কথা বলি, যুবরাজের নাম নিই না আমরা। কেন নয়? কারণ মার্কেটিং এবং পিআর টিম স্রেফ একজন ব্যক্তিকেই বিরাট বড় করে তুলে ধরেছে। যেখানে বাকিদের অবদান ছোট মনে হতে বাধ্য।"
"কেউই ছোট নয়। পুরোটাই পিআর এবং মার্কেটিং টিমের সাজানো। ২০০৭ এবং ২০১১ বিশ্বকাপ জেতার পর আমাদের বলা হয়েছিল, কোনও ব্যক্তি বিশেষ নয়, গোটা দলই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সেরকম হলে তো ভারত ৫-১০ টা বিশ্বকাপ জিতে ফেলত।"
ভারতে সবসময় ব্যক্তিপূজোর ট্র্যাডিশন চলে। সেই পরম্পরাকেই একহাত নিয়ে গম্ভীর জানাচ্ছেন, "অনেকেই এই বিষয় মানতে রাজি হবে না। তবে আমার উচিত এগুলো সামনে এসে উচিত। বিশ্বকে বলা উচিত। দলগত সাফল্য এখানে দেখা হয় না। বরং ব্যক্তি বিশেষকে তুলে ধরার চল রয়েছে।"
আরও পড়ুন: জয় শাহের বোর্ডই হারের জন্য দায়ী! আঙুল তুলে প্রকাশ্যে নীতি ঠিক করতে বললেন শাস্ত্রী
“আমাদের দেশে দলের প্রতি অবসেশন নেই। আমরা সবসময় একজন ব্যক্তিকে দলের থেকে বড় ভাবি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মত দেশে ব্যক্তির আগে দলকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। ভারতীয় ক্রিকেটের স্টেকহোল্ডাররা মিডিয়া থেকে ব্রডকাস্টার- সকলেই পিআর এজেন্সিতে তৈরি হয়েছে। ওঁরা সারা দিন ধরে স্রেফ তিনজনকে দেখায়। যদি আমার সঙ্গে অন্য কেউ হাফসেঞ্চুরি করে, তাহলে মিডিয়া যদি একজনকেই তুলে ধরে তাহলে সকলেই ভাববে সেই একমাত্র তারকা। অন্য ক্রিকেটারকে খাটো করা হয় এতে।”
Read the full article in ENGLISH