Morne Morkel as Team India bowling coach: সহকারী কোচ বাছাই নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে দর কষাকষি চলছেই নতুন হেড কোচ গৌতম গম্ভীরের। প্রাথমিকভাবে গম্ভীরকে সহকারী বাছাইয়ে পূর্ণ স্বাধীনতার কথা বলা হলেও, বাস্তবে তা হচ্ছে না। গম্ভীরের একাধিক সুপারিশ খারিজ করে দিয়েছে বোর্ড।
ফিল্ডিং কোচ হিসেবে লখনৌ সুপার জায়ান্টস-এর জন্টি রোডসকে চেয়েছিলেন গম্ভীর। পত্রপাঠ সেই প্রস্তাব খারিজ হয়ে গিয়েছে। বিনয় কুমারকেও বোলিং কোচ করতে চেয়েছিলেন গম্ভীর। তবে বোর্ড রাজি হয়নি। কেকেআরের ফিল্ডিং কোচ রায়ান টেন দুশখাতেকে সহকারী চেয়েছেন তিনি। সেই আবেদন এখনও মঞ্জুর হয়নি। একমাত্র কেকেআরের ব্যাটিং কোচ অভিষেক নায়ারকে টিম ইন্ডিয়ার কোচিং প্যানেলে অন্তর্ভুক্তিতে রাজি হয়েছেন জয় শাহরা।
বোলিং কোচ বাছাই নিয়েও এই টানাপোড়েন অব্যাহত। গম্ভীরের প্রাথমিক সুপারিশ বিনয় কুমারের নাম বোর্ডে খারিজ হয়ে যাওয়ার পর গম্ভীর এবার দক্ষিণ আফ্রিকান গ্রেট মর্নি মর্কেলের নাম বোর্ডের কাছে প্রস্তাব করে বসলেন। এমনটাই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সর্বভারতীয় প্রচার মাধ্যমে।
মর্কেলের সঙ্গে গম্ভীরের সম্পর্ক অনেক পুরোনো। একসময় গম্ভীর নিজেই সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, যত বোলারদের তিনি ফেস করেছেন, তাঁদের মধ্যে কঠিনতম মর্কেল। এই কারণেই কেকেআরকে ক্যাপ্টেন থাকাকালীন মর্কেলকে নিয়ে এসেছিলেন গৌতি। ২০১৪ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত কেকেআরেই খেলেন মর্কেল।
আরও পড়ুন: গম্ভীরকে ‘স্বাধীনতা’ই দিচ্ছেন না জয় শাহরা! বিদেশি কিংবদন্তির সুপারিশ ফের খারিজ করল BCCI
এমনকি খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর গম্ভীর যখন লখনৌয়ের মেন্টর হন, সেই সময়েও মর্কেলকে বোলিং কোচ হিসেবে লখনৌয়ে নিয়ে আসেন। গম্ভীর এলএসজি ছেড়ে দিলেও মর্কেল এখনও আইপিএলের তারকা খচিত ফ্র্যাঞ্চাইজির বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।
আন্তর্জাতিক স্তরেও মর্কেলের কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সদ্য সমাপ্ত টি২০ বিশ্বকাপের সময়েই মর্কেল পাকিস্তানের বোলিং কোচের ভূমিকা পালন করেছিলেন। তবে পাকিস্তানের শোচনীয় ফলাফলের পর চুক্তি শেষের আগেই পাক দলের কোচিংয়ের দায়িত্বে ইস্তফা দেন তিনি।
বোর্ড অবশ্য জাহির খান অথবা লক্ষ্মীপতি বালাজিকে কোচিং করাতে আগ্রহী। জাহির খানকে নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে গম্ভীরের একপ্রস্থ আলোচনাও হয়েছে। তবে গম্ভীর নিজের কোচিং স্টাফে আপাতত এখনও পর্যন্ত জাহিরকে নিয়ে আগ্রহ দেখাননি।
ঘটনা হল গত সাত বছর ধরে দেশীয় কোচেরাই টিম ইন্ডিয়া পরিচালনা করছেন। অনিল কুম্বলে হোক বা রবি শাস্ত্রী, রাহুল দ্রাবিড় জমানায় সমস্ত সহকারী কোচ (ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং) তো বটেই এমনকি ফিজিও, ভিডিও এনালিস্ট, ম্যাসিওর- সমস্ত পদেই ভারতীয়দের প্রাধান্য দিয়েছে বোর্ড। গম্ভীর জমানাতেও নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসতে চাইছে না জয় শাহদের বোর্ড। মর্কেলকে নেওয়ার ব্যাপারে বোর্ডকে গম্ভীর কতটা রাজি করাতে পারেন, সেটাই আপাতত দেখার।