Gautam Gambhir salary vs Rahul Dravid salary: ভারতীয় দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর বিরাট ধনী। তাঁর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে পাঁচ কেজি রুপো। বিএমডব্লিউ, অডির মত গাড়ি। প্রতিমাসে গম্ভীর কোটি কোটি টাকা রোজগার করেন। বেশ কিছুদিন ধরেই গম্ভীর সংবাদ শিরোনামে। রাহুল দ্রাবিড়ের জায়গায় তাঁকে ভারতীয় দলের হেড কোচ করা হয়েছে।
দ্রাবিড়কে বিসিসিআই বলেছিল, সব ফরম্যাটের বদলে নির্দিষ্ট একটা ফরম্যাটের কোচ থাকতে। তার বদলে দ্রাবিড় জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি ২০২৪ টি২০ বিশ্বকাপের পর ভারতীয় দলের কোচের পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। সেইমতো ভারতীয় দল ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি২০ বিশ্বকাপ জেতার পর দ্রাবিড়ের সঙ্গে বিসিসিআইয়ের চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে। আর, তারপরই গম্ভীরকে দ্রাবিড়ের জায়গায় ভারতীয় দলের কোচ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর গম্ভীর বিজেপির হয়ে সাংসদ হয়েছিলেন। তারপর রাজনীতি ছেড়ে ফের তিনি ক্রিকেট জগতে ফেরেন। পাশাপাশি, বিজ্ঞাপনের কাজ, ব্যবসা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের মাধ্যমে তিনি রোজগার করে থাকেন। সব মিলিয়ে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক গম্ভীর।
এই বিপুল অর্থের অনেকটাই গম্ভীরের ১০ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ার থেকে এসেছে। ২০০৭ টি২০ বিশ্বকাপ জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। ২০১১ সালে জিতেছিল একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপ। দুটোতেই গম্ভীরের বড়সড় অবদান ছিল। এরপর ২০১৯ সালে তিনি পূর্ব দিল্লি থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তখনই হলফনামায় নিজের সম্পত্তির পরিমাণ ১৪৭ কোটি টাকারও বেশি বলে জানান গম্ভীর। একইসঙ্গে অবশ্য তিনি ওই হলফনামায় জানিয়েছিলেন, তাঁর ৩৫ কোটি টাকারও বেশি ঋণ রয়েছে।
গ্র্যাজুয়েশন করার জন্য একসময় দিল্লির হিন্দু কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন গম্ভীর। কিন্তু, নানা কারণে স্নাতকস্তরের লেখাপড়া মাঝপথেই ছেড়ে দেন। সম্প্রতি, গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে গম্ভীরের সম্পত্তির পরিমাণ ২৬৫ কোটি টাকারও বেশি। ২০১৯ সালে প্রকাশিত হলফনামা অনুসারে গম্ভীরের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ছিল ২ কোটি ৭০ লক্ষেরও বেশি টাকা। এছাড়া বন্ড, ডিবেঞ্চার্স এবং শেয়ার মার্কেটে গম্ভীর ২৬ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করেছেন। তাঁর পিপিএফে ৪ লক্ষ টাকারও বেশি জমা আছে। পাশাপাশি, তাঁর নামে ১ কোটি টাকারও বেশি এলআইসি আছে।
পাশাপাশি, গম্ভীরের কাছে ১ কোটি ২৭ লক্ষ টাকারও বেশি দামের গাড়ি আছে। গম্ভীরের কাছে অডি কিউ৫, বিএমডব্লিউ ৫৩০ডি, মারুতি সুজুকি এসএক্স৪, মারুতি সুজুকি বালেরো, কেটিএম বাইক, মহিন্দ্রা বোলেরোর মত গাড়ি আছে। পাশাপাশি, ২৯ লক্ষ টাকারও বেশি সোনা-রুপো আছে। ২৮ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বাণিজ্যিক এবং বসবাসের জন্য ঘর আছে। দিল্লির রাজেন্দ্র নগরের বাসিন্দা গম্ভীরের তিনটি বাড়ি আছে। যার মধ্যে দুটো বাড়ির দাম ৪ কোটি টাকারও বেশি। আর, একটি বাড়ির মূল্য ৭ কোটি টাকারও বেশি।
আর, ভারতের প্রাক্তন কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের কাছে প্রায় ৩২০ কোটি টাকারও বেশি অর্থ এবং সম্পত্তি আছে। তাঁর এই বিপুল অর্থ রোজগারের মূলে ম্যাচ ফি এবং বিজ্ঞাপন। এর পাশাপাশি তিনি স্টার স্পোর্টসে ধারভাষ্যকার হিসেবেও কাজ করেছেন। ভারতীয় দলের কোচ থাকাকালীন দ্রাবিড় বছরে ১২ কোটি টাকা করে পেতেন। ভারতীয় দলে খেলার সময় তিনি এ গ্রেড ক্রিকেটারের তালিকায় ছিলেন। তার জেরে বছরে ১ কোটি টাকা করে পেতেন।
আরও পড়ুন- গম্ভীরের জায়গায় কেকেআরের মেন্টর এবার বিদেশি কিংবদন্তি, দ্রাবিড়ের ভাগ্যে ছিঁড়ল না শিকে
এর পাশাপাশি, দ্রাবিড় পেপসি, এশিয়ান পেন্টস, হাচ, গুগল পিক্সল, জিলেট, স্যামসং, ক্রেডের বড় বিভিন্ন বড় সংস্থার হয়ে বিজ্ঞাপনের কাজ করতেন। তিনি ব্রিটানিয়া কোম্পানিরও ব্র্যান্ড অ্যাম্বেসেডর ছিলেন। বেঙ্গালুরুর ইন্দিরা নগরে তাঁর ৫ কোটি টাকারও বেশি দামের বিলাসবহুল বাড়ি আছে। ওই বাড়ি তিনি ২০১০ সালে কিনেছিলেন। এর পাশাপাশি, দ্রাবিড়ের কাছে পোর্স ৯১১ কেকেরাএস, মর্সিডিজ বেঞ্জ জিএলই ৩৫০, অডি ক্রু ৫, হুন্ডই টকসন এবং টয়োটা ইনোভা ক্রিস্টার মত দামি গাড়িও আছে।