Indian cricket coach: সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একজন নয়, দুজনকে হেড কোচ করার পথে হাঁটতে পারে বিসিসিআই। গৌতম গম্ভীরের সঙ্গেই হেড কোচ হওয়ার ইন্টারভিউতে বসেছিলেন ডব্লিউ ভি রামন। পরিস্থিতি এমন তৈরি হয়েছে যে গম্ভীর এবং রামন দুজনকেই হেড কোচ নিয়োগ করতে পারে বিসিসিআই। এমনটাই জানানো হয়েছে সর্বভারতীয় এক প্রচারমাধ্যমের রিপোর্টে।
ইন্টারভিউয়ের পর গম্ভীরই হেড কোচ হওয়ার দৌড়ে ফেভারিট ছিলেন। তবে রামনের প্রেজেন্টেশন ছিল মন কাড়ার মত। জাতীয় দলের জন্য তাঁর সুনির্দিষ্ট ভিশন সিইসি সদস্যদের প্রভাবিত করেছে।
এমনিতে রামনের কোচিং যোগ্যতা নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই। তামিলনাড়ু, বাংলার রঞ্জি দলের হেড কোচ ছিলেন। বিজয় হাজারে ট্রফি জিতেছেন। টিম ইন্ডিয়ার মহিলা সিনিয়র ক্রিকেট দলের দীর্ঘ তিন বছর হেড কোচের ভূমিকা পালন করেছেন। আইপিএলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের সহকারী কোচ যেমন ছিলেন, তেমন কেকেআরের ব্যাটিং পরামর্শদাতা নিযুক্ত হয়েছিলেন ২০১৩-য়।
গম্ভীরের সঙ্গেও সম্পর্ক বেশ ভালো রামনের। গম্ভীরের অফ ফর্মের সময় ২০১৩-য় রামন সাহায্য করেন। রামনের টিপসে গম্ভীর ফর্মে ফেরা তো বটেই কেকেআরকে ২০১৪-এ চ্যাম্পিয়নও করেন। গম্ভীরের সেই প্রাক্তন কোচকেই এবার তাঁর সঙ্গে যুগ্মভাবে কোচিংয়ে নিয়োগ করতে পারে বিসিসিআই।
ক্রিকেটনেক্সট-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বোর্ডের উপদেষ্টা কমিটির তিন সদস্য যতীন পরাঞ্জপে, অশোক মালহোত্রা এবং সুলক্ষ্মনা নায়েক রামনের প্রেজেন্টেশন দেখে ভীষণই মুগ্ধ। তাই গম্ভীর এবং রামনের মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ দ্বিধায় রয়েছেন তাঁরা।
পুরো ঘটনা সম্পর্কে অবহিত এক সোর্সকে উদ্ধৃত করে সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "রামন এবং গম্ভীর দুজনের সার্ভিস ব্যবহার করা উচিত বোর্ডের। বিভিন্নভাবে এটা করা সম্ভব। গম্ভীরকে হেড কোচ করে রামনকে ব্যাটিং কোচ করা যেতে পারে। রামনকে বেশি করে টেস্টে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। দুজনের সার্ভিসেই উপকৃত হতে পারে বোর্ড। তাই দুজনকেই নিয়োগ করা হোক।"
বলা হয়েছিল, বিদেশি এক কোচের সাক্ষাৎকার নেবেন সিএসি সদস্যরা। তবে সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, সেই ইন্টারভিউ এখনও হয়নি।