চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলগঠন নিয়ে এবার প্রকাশ্যেই একদিকে রোহিত শর্মা এবং অজিত আগারকার। অন্যদিকে, হেড কোচ গৌতম গম্ভীরের সংঘাতের খবর সামনে এল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াড ঘোষণার ২৪ ঘন্টাও কাটেনি। এর মধ্যেই মতপার্থক্য নিয়ে বড় খবর এল সামনে।
রোহিত শর্মার ডেপুটি হিসাবে কোচ গম্ভীর হার্দিক পান্ডিয়াকে ভাইস ক্যাপ্টেন করতে চেয়েছিলেন। একইভাবে ঋষভ পন্থের জায়গায় স্কোয়াডে গম্ভীরের পছন্দের কিপার-ব্যাটার ছিলেন সঞ্জু স্যামসন। তবে হেড কোচের দুই নির্বাচনই নাকচ করলেন নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান অজিত আগরকার।
চলতি সময়ে ভারতীয় ক্রিকেটে চাঞ্চল্যকর কিছু সিদ্ধান্তের সাক্ষী হতে হচ্ছে। সম্প্রতি, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-কে সামনে রেখে জাতীয় দলে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে দেখা গিয়েছে নির্বাচক কমিটিকে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, দল নির্বাচন নিয়ে কোনো আপোস করা হবে না।
একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, গৌতম গম্ভীর দলগঠন নিয়ে বিশেষ অনুরোধ জানান অজিত আগারকারকে। গম্ভীর, লখনউ সুপার জায়ান্টসের প্রাক্তন মেন্টর ছিলেন। তিনি সঞ্জু স্যামসনকে স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেন। তবে আগরকার সেই অনুরোধ সরাসরি নাকচ করে দেন।
এদিকে, হার্দিক পান্ডিয়াকে নতুন সহ-অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেওয়ার প্ল্যান ছিল গম্ভীরের। রোহিত শর্মার নেতৃত্বের সঙ্গে হার্দিকের ভূমিকা ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন গম্ভীর। তবে হার্দিক নন, ভাইস ক্যাপ্টেন হিসেবে আগারকার-রোহিতরা বাছলেন শুভমান গিলকে।
সম্প্রতি যিনি শোচনীয় ফর্মে রয়েছেন। প্ৰথম একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছিল। তাঁকে স্রেফ নেওয়াই নয়, সরাসরি ভাইস ক্যাপ্টেনও ঘোষণা করে দেওয়া হয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে এই পদক্ষেপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
আগরকার স্পষ্ট করেছেন, "দলের প্রয়োজনে আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিচ্ছি। খেলোয়াড়দের যোগ্যতা এবং সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সই আমাদের সিদ্ধান্তের মাপকাঠি।"
ঘটনা হচ্ছে কয়েক মাস আগেও সীমিত ওভারের ক্রিকেটে রোহিতের উত্তরসূরি হিসাবে ভাবা হচ্ছিল হার্দিককে। রোহিতের অনুপস্থিতিতে একাধিকবার জাতীয় দলের নেতৃত্বও দিয়েছেন। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপেও হার্দিক ছিলেন ভাইস ক্যাপ্টেন। তবে আচমকা শুভমান গিলের সহ অধিনায়কত্ব প্রাপ্তিতে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় হার্দিক পান্ডিয়া, শুভমান গিল এবং সূর্যকুমার যাদবের মতো তরুণ খেলোয়াড়দের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত ভারতীয় ক্রিকেটের দীর্ঘমেয়াদী সাফল্যের লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর আগে ভারতীয় ক্রিকেট দলের এই পরিবর্তন এবং পরিকল্পনা সমর্থকদের মধ্যে কৌতূহল তৈরি করেছে। আগামী দিনে এই সিদ্ধান্ত কতটা সফল হয়, তা দেখার বিষয়।