৪৮৩ রান, ৩৭টি ছয়, একটি সেঞ্চুরি ও তিনটি হাফ-সেঞ্চুরি। না, পঞ্চাশ ওভারের কোনও ম্য়াচের উল্লেখযোগ্য় পয়েন্ট নয় এগুলি, ঘটেছে ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণেই, টি-২০ ফর্ম্য়াটে।
মঙ্গলবার ক্য়ারিবিয়ান প্রিমিয়র লিগ (সিপিএল) দেখল রেকর্ডের ছড়াছড়ি। এদিন সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে চলতি লিগের সাত নম্বর ম্য়াচে মুখোমুখি হয়েছিল জামাইকা তালাওয়াহস এবং সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্য়াট্রিয়টস। আর এই ম্য়াচেই রানের ফুলঝুড়ি ছোটালেন ক্রিকেটাররা।
আরও পড়ুন: ভারতীয় প্ররোচনা নয়, পাক মন্ত্রীর দাবি ওড়ালেন শ্রীলঙ্কান ক্রীড়ামন্ত্রী
এদিন টস হেরে প্রথমে ব্য়াট করেত নামে জামাইকা। ওপেনার ক্রিস গেইলের বিধ্বংসী সেঞ্চুরি (৬২ বলে ১১৬, ৭টি চার ও ১০টি ছয়) ও চ্য়াডউইক ওয়ালটনের (৩৬ বলে ৭৩) ব্য়াটে ভর করে জামাইকা নির্ধারিত ওভারে চার উইকেট হারিয়ে তোলে ২৪১ রান। গেইল এদিন কেরিয়ারের ২২ তম ও সিপিএল-এর চতুর্থ টি-২০ শতরানটি করে ফেলেন। ৭৯ বলে ১৬২ রানের পার্টনারশিপ করেন গেইল-ওয়ালটন। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ স্কোর ও পার্টনারশিপের ইতিহাস লেখেন তাঁরা।
এই বিশাল রান তাড়া করতে নেমে প্য়াট্রিয়টস সাত বল বাকি থাকতেই চার উইকেটে ম্য়াচ জিতে নেয়। সৌজন্য়ে দুই ওপেনার ডেভন থমাস (৪০ বলে ৭১) ও এভিন লুইস (১৮ বলে ৫৩)। তিনে ব্য়াট করতে আসা লরি ইভান্স (২০ বলে ৪১) ও ফাবিয়ান অ্যালেন (১৫ বলে অপরাজিত ৩৭) নিজেদের ছাপ রাখেন।
আরও পড়ুন: ভিডিও: প্রকাশ্য়ে দাদার কাছে ক্ষমা হার্দিকের, নেটে এমন কী ভুল করেছিলেন তিনি?
আইসিসি-র অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যে ম্য়াচ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে বলা হচ্ছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই ম্য়াচ ইতিহাস লিখেছে। পরে ব্য়াট করতে নেমে সর্বোচ্চ রান করার তালিকায় চারে থাকবে প্য়াট্রিয়টস। এটি রান তাড়া করে জেতার ক্ষেত্রে দু'নম্বরে থাকবে। এর আগে রয়েছে গতবছর অকল্য়ান্ডে অস্ট্রেলিয়া বনাম নিউজিল্য়ান্ডের ম্য়াচ। অজিদের ২৪৫/৫ তাড়া করে ম্য়াচ জেতে কিউয়িরা। সিপিএল-এর ইতিহাসে দুই ইনিংস মিলিয়ে এটি সর্বোচ্চ রান। এমনকী টি-২০ ফর্ম্য়াটে এর আগে কোনও ম্য়াচে ৩৭টি ছয় হয়নি দু'দলের মিলিত ইনিংসে। ৩৮.৫ ওভারেই ৪৮৩ রান এসেছে।