২০১৬-তে ভারতে এসেছিলেন ব্রাজিলিয়ান সেন্টার-ব্যাক গার্সন ভিয়েরা। সে বছরটা রণবীর কাপুরের আইএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজি মুম্বই সিটি এফ-সি-তে খেলেছিলেন। তার পরের বছর আবার চলে গিয়েছিলেন ব্রাজিলের ক্লাব অ্যাটলেটিকো টুবারাওতে। ওখান থেকে ফের মুম্বই হয়ে সোজা জাপানে যান। ওখানকার পেশাদার লিগে খেলেছিলেন রেনোফা ইয়ামাগুচির জার্সিতে। বছর পঁচিশের এই পোর্তো আলেগ্রের বাসিন্দা এবার ফের আইএসএল-এ। বেছে নিয়েছেন কলকাতাকেই। এটিকে-র জার্সিতেই খেলবেন স্টিভ কোপেলের কোচিংয়ে।
ভিয়েরা কিন্তু বাংলা ভাষাটাকেও ভালবেসে ফেলেছেন। ছোটখাটো বাংলা ও হিন্দি শব্দ বলে দিচ্ছেন কথার ফাঁকে। ব্রাজিলের সঙ্গেই মিল পান এই দেশটার। ওখানকার মানুষের উষ্ণতাই দেখেছেন ভারতীয়দের মধ্য়ে। ফুটবলার মানেই শরীর সচেতন। আন্তর্জাতিক স্পোর্টস টিকে থাকার মূলমন্ত্র ফিটনেস। ভিয়েরাও ব্যতিক্রম নন। গ্রিন-টি-র সঙ্গে মধু খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বলেন চিনিটা না-খাওয়াই ভাল। এহেন ভিয়েরাই এবার বিরিয়ানির প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন। শনিবার কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠকের আগে ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন ভিয়েরা। মুখে সবসময় লেগে আছে হাসি। বললেন, “আমার বিরিয়ানি দারুণ লাগে। সুযোগ পেলেই খাই। শুধু বিরিয়ানিই নয়, আমার ডাল-রুটি খেতেও বেশ ভাল লাগে। ভারতের খাবার সংস্কৃতি ভীষণ টানে আমাকে। আমি ব্রাজিলেই যাই বা জাপানে, ভারতকে কিন্তু আমি খুব মিস করি। এই দেশটার মধ্যে আমার দেশকে খুঁজে পাই। একটা অন্যরকম উষ্ণতা আছে।” মুম্বইয়ের হয়ে ট্রফি জিততে পারেননি ভিয়েরা। এখন তাঁর একটাই লক্ষ্য়। এটিকে-কে চ্য়াম্পিয়ন করা। বললেন, “আমি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী। খেতাব জয়ই আমার একমাত্র লক্ষ্য়। আমি চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। আর এটাই আমার মিশন।”
আরও পড়ুন: শচীনের-কোহলির ফ্যান টিম কাহিল, ক্ষমা চাইলেন সুব্রত পালের কাছে!
ভিয়েরা নিজে একজন ডিফেন্ডার। প্রাক্তন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার পুয়োলের বড় ভক্ত তিনি। কিন্তু রাশিয়া বিশ্বকাপে নেইমারের মাঠের মধ্যে পড়ে যাওয়াকে তিনি 'প্লে-অ্য়াক্টিং' বলতে মানতে নারাজ। তাঁর মতে কোনও ডিফেন্ডার ছেড়ে কথা বলে না। মাঠে লড়াইতে সবাই সমান। তাঁর চোখে নেইমার নির্দোষ। ভিয়েরা এখন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্নে বিভোর। শুনিয়ে দিলেন, "মনে রাখবেন এটিকে কিন্তু দু'বারের চ্যাম্পিয়ন।"