যৌন হেনস্থার অভিযোগে চক্রান্তের ভূত দেখছেন ব্রিজভূষণ। অন্যদিকে বিজেপি সাংসদ এবং WFI প্রধান ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংকে গ্রেফতারের দাবিতে উত্তাল দিল্লির রাজপথ। প্রতিবাদ আন্দোলন ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। প্রতিবাদী কুস্তিগীরদের পাশে দাঁড়িয়েছেন একাধিক রাজনৈতিক দল।
কুস্তিগীরদের প্রশ্ন ‘দেশের মহিলা ক্রিড়াবিদরা নির্যাতিত, সেই দেশেই রাষ্ট্রপতি একজন মহিলা। প্রতিবাদ আন্দোলনের সভাস্থল থেকে নয়া সংসদ ভবনের দূরত্ব মাত্র হাতে গোনা কয়েক কিলোমিটার। আমাদের কন্ঠস্বর কী প্রধানমন্ত্রী মোদীর কান পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে না’?
এদিকে কুস্তিগীরদের একটানা আন্দোলন এবং তাদের ওপর গত রবিবার পুলিশি নির্যাতন নিয়ে প্রথম বারের মত মুখ খুলেছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। একই সঙ্গে ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড রেসলিং (UWW) মঙ্গলবার ভিনেশ ফোগাট, সাক্ষী মালিক এবং বজরং পুনিয়া সহ প্রতিবাদী কুস্তিগীরদের আটকের নিন্দা জানিয়েছে।
কুস্তি বিশ্ব সংস্থা UWW একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে "ভারতের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা গভীর উদ্বিগ্ন” কুস্তিগীররা রেসলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার (ডব্লিউএফআই) সভাপতির বিরুদ্ধে পদের অপব্যবহার ও যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল রয়েছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, কুস্তিগীরদের মধ্যে ভিনেশ ফোগাট, সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়া, এবং অন্যান্যরা WFI প্রধান ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে আসছেন, তার বিরুদ্ধে তরুণ প্রতিভাবান কুস্তিগীরদের যৌন হয়রানির মত মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে।
এখনও পর্যন্ত তদন্তের ফলাফল সামনে না আসায় হতাশা প্রকাশ করে, খেলার আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে WFI নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। রবিবার, দিল্লি পুলিশ সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগাট এবং বজরং পুনিয়াকে আটক করে, পরবর্তীকালে, আইনশৃঙ্খলা লঙ্ঘনের জন্য কুস্তিগীরদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল।
পরিকল্পিত মহিলা 'মহাপঞ্চায়েত'-এর জন্য নব উদ্বোধন করা সংসদ ভবনের দিকে মিছিলের সময় নিরাপত্তা বেষ্টনী লঙ্ঘন করার সময়
পুলিশ ও কুস্তিগীরদের মধ্যে বচসা থেকে হাতাহাতি ও হয়। যন্তর মন্তর চত্ত্বর খালি করে দেয় পুলিশ। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রশ্নের জবাবে সুইজারল্যান্ডের লুসান থেকে আইওসি মুখপাত্র বলেছেন “ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে পুলিশের আচরণ নিন্দনীয় ও বিরক্তিকর, আন্তর্জাতিক পদকজয়ী কুস্তিগীরদের প্রতি এমন আচরণ কোন ভাবেই বরদাস্ত করা যায় না"।একই সঙ্গে আইওসি যৌন হয়রানির অভিযোগে যথাযথ ও নিরপেক্ষ তদন্তের পক্ষেও জোরালো সওয়াল করেছেন।
আইওসি'র এই বিবৃতিটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কারণ ভারত অক্টোবর আইওস্যার-এর বার্ষিক অধিবেশনের আয়োজন করবে। একই সঙ্গে ২০৩৬ সালে গুজরাটে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া অলিম্পিক গেমসের প্রাক্কালে কুস্তিগীরদের সঙ্গে এমন আচরণ বিশ্বমঞ্চে ভারতের পক্ষে ভাল বার্তা দেবে না। একই সঙ্গে UWW কুস্তিগীরদের সাথে আচরণ এবং আটকের "দৃঢ় নিন্দা" করেছে - এটিকে "উদ্বেগজনক" বলে অভিহিত করেছে।
যৌন হেনস্থার অভিযোগে চক্রান্তের ভূত দেখছেন WFI প্রধান ব্রিজ ভূষণ। বিজেপি নেতা তথা WFI প্রধান ব্রিজ ভূষণ শনিবার বলেন, “আমি নির্দোষ, আমি তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। আমি তদন্তে সব রকমের সাহায্য করতেও রাজী। বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এটা কংগ্রেস, কিছু শিল্পপতিদের আন্দোলন, কুস্তিগীরদের নয়’।