Advertisment

তীব্র কষ্টে রাস্তায় সবজি বিক্রি সোনাজয়ীর, খবর পেতেই ব্যবস্থা মুখ্যমন্ত্রীর

মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন খবর পান গীতা কুমারী অর্থিক সমস্যায় জর্জরিত হয়ে রাস্তার ধারে সবজি বিক্রি করছেন। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি রামগড় জেলার ডেপুটি কমিশনারকে নির্দেশ দেন গীতা কুমারীকে সাহায্য করার জন্য।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

লকডাউনে আর্থিক সমস্যায় জেরবার সাধারণ মানুষ থেকে সেলেব কুল। রোজগারের জন্য পথে নামতে হয়েছে প্রত্যেককেই। একই কারণে এবার রাস্তায় নেমে সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন আটটা সোনার পদকজয়ী এথলিট গীতা কুমারী। খেলা ধুলা বন্ধ। রোজগার নেই তাই তারকা এথলিট ঝাড়খণ্ডের রামগড় জেলায় সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। এমন খবর মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের কাছে পৌঁছতেই ব্যবস্থা নেন তিনি।

Advertisment

রামগড় জেলা প্রশাসনকে এককালীন ৫০ হাজার টাকা গীতা কুমারীর হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে আপাতত, মাসিক ৩০০০ টাকা তাঁকে দেওয়া হবে অনুশীলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য।

সোশাল মিডিয়া মারফত মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন খবর পান গীতা কুমারী অর্থিক সমস্যায় জর্জরিত হয়ে রাস্তার ধারে সবজি বিক্রি করছেন। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি রামগড় জেলার ডেপুটি কমিশনারকে নির্দেশ দেন গীতা কুমারীকে সাহায্য করার জন্য। যাতে তাঁর এথলেটিক্স কেরিয়ার বাধাপ্রাপ্ত না হয়।

সোমবারই ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সন্দীপ সিং এথলিটের হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। মাসিক ৩০০০ টাকা ভাতার কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়। রাজ্যের একটি স্পোর্টস সেন্টারে অনুশীলনের বন্দোবস্তও করে দেওয়া হয়। এরপরে রাজ্য সরকারের তরফে এই বিষয় বিবৃতি দেওয়া হয়।

রাজ্যের সমস্ত ক্রীড়াবিদদের ধন্যবাদ জানিয়ে সন্দীপ সিং জানান, রামগড়ের বেশ কিছু ক্রীড়াবিদ রয়েছেন যাঁরা দেশের হয়ে সম্পদ হয়ে উঠতে পারেন। তাঁরা যাতে সাহায্য পান, সেই বিষয় নিশ্চিত করবে প্রশাসন।

গীতা কুমারীর খুড়তুতো দাদা ধনঞ্জয় প্রজাপতি বলেন, "পাশের জেলা হাজারিবাগের আনন্দ কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ও। দরিদ্র পরিবারের সন্তান। নিজের কেরিয়ারের জন্য রাস্তায় সবজি বিক্রি করছিল। প্রশাসন ওকে সাহায্য করায় ও আপাতত খুশি।"

হাঁটা প্রতিযোগিতায় গীতা কুমারী রাজ্য স্তরে আটটা সোনা জিতেছেন। কলকাতায় অনুষ্ঠিত হওয়া এক প্রতিযোগিতায় একটি রুপো এবং ব্রোঞ্জ পদকও জেতেন।

Gold Medal jharkhand
Advertisment