Graham Thorpe death: গত সপ্তাহেই ৫৫ বছরের গ্রাহাম থর্প প্রয়াত হয়েছেন। তবে স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, দীর্ঘদিনের অবসাদে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি। এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী আমান্দা।
নিজের প্ৰথম শ্রেণি এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে থর্প পুরোটাই খেলেছেন ইসিবি এবং সারের হয়ে। দুই সংস্থার তরফে গত ৫ অগাস্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, থর্প প্রয়াত হয়েছেন।
২০২২-এর মার্চে গ্রাহাম থর্প আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তবে দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ১০০ আন্তর্জাতিক টেস্ট খেলা থর্প নিজেকে অন্তরালে সরিয়ে নেন।
তাঁর প্রয়াত হওয়ার পর প্ৰথমবার মুখ খুলে তাঁর স্ত্রী আমান্দা জানালেন, দীর্ঘদিনের অবসাদ তাঁকে শেষ করার দিয়েছিল। দ্যা টাইমস-এর প্রতিনিধি এবং থর্পের প্রাক্তন সতীর্থ মাইকেল আথারটনকে জানাতে গিয়ে আমান্দা বলে দিয়েছেন, "গত কয়েক বছর ধরেই গ্রাহাম তীব্র অবসাদে ভুগছিলেন। ২০২২-এর মার্চে নিজের প্রাণ নেওয়ার চেষ্টা করেন। যাঁর ফলে ওঁকে দীর্ঘদিন ইনসেন্টিভ কেয়ারে থাকতে হয়। এরপরে কিছু আশা দেখালেও গ্রাহাম উদ্বেগ এবং অবসাদে ডুবে যান আরও। আমরা ওঁর প্রতি সবসময় সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। অনেক চেষ্টা করেছি। তবে মনে হয় কিছুই কাজ করেনি।"
ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থাকার জন্য থর্প বিখ্যাত ছিলেন। এছাড়াও কোচের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। ২০১৯ বিশ্বকাপজয়ী ইংল্যান্ড দলের কোচিং স্টাফের অংশ ছিলেন। ১৯৯৮-২০০৫ পর্যন্ত সারের হয়ে খেলেছেন। ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে ২১ হাজার রান করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টেস্টে ১৬টি শতরান হাঁকিয়েছেন। কেরিয়ারের সেরা ২০০ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ১৯৯৩ থেকে ট্রেন্টব্রিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অভিষেক ঘটেছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। ২০ বছর পর প্ৰথম ইংরেজ ব্যাটার হিসাবে অভিষেকেই শতরানের কীর্তি গড়েন।
থর্পের ২২ বছরের কন্যা কিটি বলেছেন, "আমরা মোটেও এই বিষয়ে কথা বলতে বিব্রত নই। এটা কোনও পারিবারিক কলঙ্ক বা লুকোনোর বিষয় নয়। আমরা ওঁকে বারবার চেষ্টা করেছি সাহায্য করে ভালো করে তোলার। ওঁকে রক্ষা করার। এই কারণে আমরা এতদিন কিছুই বলিনি। তবে এখন এই খবর প্রকাশ করার সময় এসেছে। যা রীতিমতো ভয়ঙ্কর। আমরা কথা বলতে চেয়েছি, চেষ্টা করেছি। এখন সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করছি।"