সৌরভ নয়, ভারতীয় ক্রিকেট বদলে যাওয়ার পিছনে রয়েছে রাহুল দ্রাবিড়ের ব্রেন! এমনটাই মনে করছেন স্বয়ং গ্রেগ চ্যাপেল। বলে দিচ্ছেন, ভারতে ঘরোয়া ক্রিকেটের সাপ্লাই লাইনের পিছনে রয়েছেন দ্রাবিড়। ক্রিকেট.কম.এইউ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গ্রেগ চ্যাপেল সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, "ভারত যে সম্প্রতি এত দুর্ধর্ষ খেলছে। তার অনেকটাই কৃতিত্ব দ্রাবিড়ের। ও আসলে আমাদের মগজটাই কাজে লাগাচ্ছে। আমরা কীভাবে ক্রিকেটার তুলে আনি, সেটা দারুণভাবে ফলো করেছে। তারপরে দেশের বিশাল ক্রিকেট উৎসুক জনতার মধ্যে সেটা প্রয়োগ করেছে।"
নতুন প্রতিভাবান ক্রিকেটার তুলে আনার বিষয়ে ভারত, ইংল্যান্ড টেক্কা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। এমনটাই অভিমত বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা তারকার। কোনও রাখঢাক না করেই সাক্ষাৎকারে চ্যাপেল জানিয়েছেন, "সবসময়েই আমরা ক্রিকেটার তুলে আনার বিষয়ে বাকিদের থেকে এগিয়ে থেকেছি। তবে বিগত কয়েক বছরে এই ধারাটা বদলে গিয়েছে। প্রতিভা চেনার জন্য গর্ব করতাম একসময়। বর্তমানে এই ক্ষেত্রে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব আর আমরা দাবি করার মত অবস্থায় নেই। ইংল্যান্ড, ভারত এটা এখন আমাদের থেকেও ভালো করছে। আমাদের দেশেও অনেক প্রতিশ্রুতিমান ক্রিকেটার রয়েছে। তবে ওদের কেরিয়ার এই মুহূর্তে আবছা হয়ে রয়েছে। একজন ক্রিকেটারও হারিয়ে যাক, এটা আমাদের কাছে কোনোভাবেই কাম্য নয়।"
আরও পড়ুন: ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনালে খেলেই অবসর! ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার ঘোষণা সেরার সেরা তারকার
চলতি বছরের শুরুতেই ভারতের দ্বিতীয় সারির দলের কাছে দেশের মাটিতেই পর্যুদস্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। চোট আঘাতের জন্য দলের প্রথমসারির অধিকাংশ ক্রিকেটারই ছিলেন না। পিতৃত্বকালীন ছুটিতে ছিলেন বিরাট কোহলিও।
ভারতের এই ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের বিষয়ে চ্যাপেলের বিশ্লেষণ, "ব্রিসবেনে ভারতের একাদশ দেখলেই পরিষ্কার, কমপক্ষে তিন থেকে চারজন একদম নতুন মুখ ছিল। সবাই বলছিল, এটা নাকি ভারতের দ্বিতীয় সারির দল। তবে ওদের কিন্তু এ দলের হয়েও খেলত। যেকোনো পরিবেশে, শুধু ভারতেই নয়, বাইরেও খেলার অভিজ্ঞতা ছিল। তাই ওঁদের যখন প্রথম একাদশে সুযোগ দেওয়া হল, সেই সময় ওঁরা কিন্তু আনকোরা নয় বরং মাজাঘষা করা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অন্যদিকে আমরা নিয়েছিলাম শিল্ডে ভালো খেলা উইল পুকভস্কিকে, যে অস্ট্রেলিয়ার বাইরে কোনোদিন খেলেইনি। এটাই ফারাক হয়ে গিয়েছে।"
ভারত, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্যই চ্যাপেল ঘরোয়া ক্রিকেটকে ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দিয়েছেন। ২০১৯ সালে জাতীয় দলের ট্যালেন্ট ম্যানেজারের মত পোস্টও সামলেছেন বিখ্যাত এক অজি। তাঁর পরামর্শ, "ফুল টাইম ক্রিকেটার আমাদের রয়েছে। তাই ক্রিকেট সিজনের জন্য কেন আমাদের অপেক্ষা করে থাকতে হবে? প্রথমে পাঁচটা কর শিল্ড ম্যাচ খেলা হোক। তারপর ৫০ ওভারের ক্রিকেট। তারপর বিবিএল এবং শেষে শিল্ড দিয়ে মরশুম শেষ করা হোক। ১০ মাস ধরেই চলুক ক্রিকেট।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন