রিঙ্কু সিংয়ের কাছে পাঁচ ছক্কা হজম করে শিরোনামে উঠে এসেছিলেন। তারপর প্রায় গোটা আইপিএলেই দেখা যায়নি তাঁকে। টুর্নামেন্টের শেষদিকে খেলতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সেই ইয়াশ দয়ালই ফের একবার শিরোনামে। তবে সম্পূর্ণ অন্য কারণে।
দিল্লিতে সাক্ষী খুনের পর ফের একবার মিডিয়া জুড়ে লাভ জিহাদ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বয়ফ্রেন্ড সাহিলের হাতে নৃশংসভাবে খুন হতে হয়েছে সাক্ষীকে। তারপরেই নিজের ইনস্টাগ্রামে লাভ-জিহাদ বিরোধী পোস্ট করেছিলেন ইয়াশ দয়াল। তারপরে ভয়ানকভাবে সমালোচিত হতে হয় জাতীয় দলের তারকা এই ক্রিকেটার। পরে যদিও তিনি ক্ষমা চেয়ে নেন। বলে দেন সমস্ত ধর্মকেই সম্মান করেন তিনি।
ইয়াশ দয়াল অবশ্য ব্রততী মাইতির এক পোস্ট শেয়ার করেন। কী ছিল বিতর্কিত সেই পোস্টে? সেই পোস্টে দেখা যাচ্ছে, এক বালক মাথায় ফেজ টুপি পরে হাঁটু গেড়ে হাতে ছুরি ধরে রয়েছেন। সেই ছেলেটিকে দেখা যাচ্ছে চোখ বাঁধা একটি মেয়ের হাত ধরে রয়েছে। সেই মেয়ের ছবির সঙ্গে সাক্ষী লেখা রয়েছে। সেই দৃশ্যের পাশেই অনেক কবর খোঁড়া রয়েছে। প্রতিটি কবরের সঙ্গেই খোদাই করা রয়েছে এক একটি হিন্দু মেয়ের নাম।
এমন পোস্ট শেয়ার করার পরেই ইয়াশ দয়ালকে তীব্র সমালোচনায় ভরিয়ে দেওয়া হয়। ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। অনেক নেটিজেনই প্রশ্ন তোলেন মহম্মদ শামি, রশিদ খান, নূর আহমেদের সঙ্গে কীভাবে ড্রেসিংরুম শেয়ার করেন তিনি এমন মানসিকতা নিয়ে। অনেকেই দয়ালকেই 'মুসলিম-বিরোধী', 'সংঘী' বলে দাগিয়ে দেয়। তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে শেষমেশ দয়াল শেষমেশ ক্ষমা চেয়ে নেন।
দয়াল সমর্থকদের কাছে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। লিখেছেন, "বন্ধুরা, আমার স্টোরির জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। ভুল করে পোস্ট করে ফেলেছি। দয়া করে ঘৃণা ছড়িও না। সকল ধর্মকেই শ্রদ্ধা করি।" তবে এখনও নেট দুনিয়ার সমালোচনার ঝড় থামেনি।