২০১১ সাল ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। ২৮বছর পর দ্বিতীতবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। সেই স্মৃতি মনে পড়লে এখনো উত্তেজিত হয়ে ওঠেন হরভজন সিং। বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য হওয়ার আনন্দ টের পান।
৯ বছর আগের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে হরভজন স্টার স্পোর্টসের ক্রিকেট শো তে বলছিলেন, "সেই রাতে বিশ্বকাপ জয়ের পদক বিছানায় নিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। যখন ঘুম ভাঙে যখন পদক আমার সঙ্গে ছিল। অসামান্য অনুভূতি হচ্ছিল।"
শুধু হরভজনই নন, সিনিয়রদের কাঠিন্য ত্যাগ করে জুনিয়রদের সঙ্গে নাচতে শুরু করেন শচীনও। ভাজ্জি জানাচ্ছিলেন, "সেই দিনেই শচীন তেন্ডুলকরকে প্রথমবারের মতো নাচতে দেখেছিলাম। জীবনে এই প্রথম চারপাশে কে আছে তার তোয়াক্কা না করেই শচীন নাচছিল। প্রত্যেকের সঙ্গে প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করছিল। এটা আমার সারা জীবন মনে থাকবে।"
কেমন ছিল সেই সময়? ক্রিকেট শো-তে এসে এখনও আবেগে ভেসে যান মিস্টার টারবুনেটর। বলেন, "এটা এমন একটা মুহূর্ত ছিল যা আমরা একসঙ্গে স্বপ্ন দেখেছিলাম বহুদিন ধরে। সেই স্বপ্ন পূর্ণ হয়েছিল এবং আমরা অবিশ্বাস্য অনুভূতির সাক্ষী থেকেছিলাম। সেই মুহূর্তের কথা মনে পড়লে আজও গায়ে কাঁটা দেয়।"
বিশ্বকাপ হাতে নিয়েই কেঁদে ফেলেছিলেন জানাচ্ছিলেন জলন্ধরের সুপারস্টার স্পিনার। "বিশ্বকাপ হাতে তোলার মুহূর্ত বরাবরই স্পেশাল। জীবনে প্রথমবারের মতো সবার সামনেই কেঁদে ফেলেছিলাম। সেই স্মৃতি অবিস্মরণীয়। সেই সময় বুঝতেই পারছিলাম না কীভাবে রিয়াক্ট করবো।"
২০১১ সালের বিশ্বকাপ প্রতিটি ভারতীয়র কাছেই স্পেশাল। দুরন্ত খেলে ভারত বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল। ফাইনালে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা।
সেই ম্যাচেই দ্বিতীয় ইনিংসে রান তাড়া করতে নেমে বীরেন্দ্র শেওয়াগ ও শচীন তাড়াতাড়ি ফিরে যাওয়ার পরে কোহলির সঙ্গে সাময়িক ইনিংস খেলে দলকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করেন গম্ভীর। এরপরে ধোনির সঙ্গে জুটিতে গুরুত্বপূর্ণ ১০৭ রানের পার্টনারশিপ যোগ করে যান তিনি। ৪২ ওভারে থিসারা পেরেরার বলে গম্ভীর যখন আউট হন তখন শতরান থেকে মাত্র ৩ রান দূরে ব্যাট করছিলেন। ৯৭ রানে গম্ভীর আউট হয়ে ফিরে যাওয়ার পরে ধোনি ভারতের জয় নিশ্চিত করেন।
৯১ রানের ইনিংস উপহার দেন দলনায়ক ধোনি। যুবরাজ সিংয়ের সঙ্গে ৫৪রানের দুরন্ত জুটি গড়ে তোলেন ধোনি। নুয়ান কুলশেখারার বলে আইকনিক ছক্কা হাঁকিয়ে দেশকে পুনরায় বিশ্বকাপ এনে দেন। ২৮ বছর পর ফের একবার চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত।