নিজেই নিতে চাননি খেলরত্ন পুরস্কার। এমনটাই এবার জানিয়ে দিলেন খোদ হরভজন সিং। যা নিয়ে ক্রিকেটারের সৎ মানসিকতায় মুগ্ধ ক্রিকেট মহল।
কিছুদিন আগেই পাঞ্জাব সরকার খেলরত্নের জন্য কয়েকজনের নাম সুপারিশ করেছিল। সেই তালিকায় ছিল ভাজ্জির নাম-ও। তবে কিছুদিন পরেই সেই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় তারকা স্পিনারের নাম। তারপরেই পাঞ্জাবের রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে ওঠে। গুজব ছড়িয়ে যায় পাঞ্জাব সরকারের সঙ্গে ভাজ্জির মতান্তরের কারণেই নাকি সুপারস্টার ক্রিকেটারের নাম বাদ দেয় রাজ্য সরকার।
সেই জল্পনায় ইতি টানলেন স্বয়ং স্পিনারই। পাঞ্জাব সরকারকে হরভজন নিজেই সেই তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করেন। এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। ২০১৬ সালের পর আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেননি হরভজন। তিনি নিজেই জানান, এই পুরস্কার পাওয়ার জন্য একজন ক্রীড়াবিদকে আন্তর্জাতিক স্তরে টানা তিন বছর পারফর্ম করে যেতে হয়।
৪০ বছরের তারকা নিজের টুইটারে জানান, "প্রিয় বন্ধু আমার নাম কেন খেলরত্ন পুরস্কারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হল সেই বিষয়ে জানতে চেয়ে আমার ফোনে সবাই ফোন করছেন। প্রথম কথা হল, আমি খেলরত্নের জন্য উপযুক্তই নই। কারণ এই পুরস্কারের যোগ্যতামানই হল, শেষ তিন বছর আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স।"
এরপরে তিনি আরো জানান, "এক্ষেত্রে পাঞ্জাব সরকারের কোনো ভুল হয়নি। ওরা সঠিক কারণেই আমার নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আমার বন্ধুদের বলব, জল্পনা করা বন্ধ করুন।"
তিন নম্বর টুইটে ভাজ্জির বক্তব্য, "আমার খেলরত্ন নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি, জল্পনা চলছে। আমিই পরিষ্কার করে দিচ্ছি। গত বছর আমার নামের সুপারিশ দেরি করে পাঠানো হয়েছিল। এই বছরে আমি পাঞ্জাব সরকারকে অনুরোধ করি যাতে আমার নাম তুলে নেওয়া হয়। কারণ আমার তিন বছর পারফরম্যান্স এর যোগ্যতামানই নেই। এর বেশি জল্পনা বন্ধ করুন সবাই।"
বর্ষীয়ান এই স্পিনার দেশের জার্সিতে ১০৩ টে টেস্ট এবং ২৩৬ টি ওডিআই খেলেছেন। প্রাপ্ত উইকেট সংখ্যা যথাক্রমে ৪১৭ এবং ২৬৯।