ফের খবরের শিরোনামে ভারতীয় ক্রিকেট দলের তারকা ক্রিকেটার হার্দিক পাণ্ডিয়া। মুম্বই বিমানবন্দরে তাঁকে আটকাল কাস্টমস আধিকারিকরা। তাঁর কাছ থেকে দুটি বহুমূল্য হাতঘড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে কাস্টমস আধিকারিকরা। সেই দুটি ঘড়ির দাম ৫ কোটি টাকার মতো। সেই নিয়ে মঙ্গলবার বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কাস্টমস সূত্রে খবর, দুটি হাতঘড়ির কোনও নথি ছিল না হার্দিকের কাছে।
জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে দুবাই থেকে মুম্বই বিমানবন্দরে নামার পর ঘড়িদুটি কাস্টমস আধিকারিকের কাছে জমা দিয়ে দেন তিনি। ভারতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে ফিরছিলেন হার্দিক। উল্লেখ্য, গত বছর হার্দিকের দাদা ক্রুণালকেও মুম্বই এয়ারপোর্টে আটক করা হয়েছিল। তাঁর কাছ থেকে চারটি বহুমূল্য হাতঘড়ি বাজেয়াপ্ত করে। সেইসময় ক্রুণাল কাস্টমস আধিকারিকদের বলেছিলেন, কাস্টমস শুল্ক এবং জিনিসের নথি নিয়ে কোনও ধারণা নেই তাঁর।
আরও পড়ুন টিম ইন্ডিয়ায় অতীত হার্দিক! মুখের ওপর দরজা বন্ধ করা হল তারকার
এদিকে, ঘড়ির দাম নিয়ে খবরের কথা অস্বীকার করেছেন হার্দিক। ভারতীয় তারকা ক্রিকেটারের দাবি, দেড় কোটি টাকা দামের একটি ঘড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তিনি টুইট করে জানিয়েছেন, "আমি মুম্বই এয়ারপোর্টে নামার পর নিজে থেকেই কাস্টমস আধিকারিকদের ঘড়ির কথা জানাই। তারপর যথাযথ কাস্টমস শুল্ক দিয়ে দিই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুল খবর ছড়ানো হয়েছে। আমার কাছে ঘড়ির কোনও কাগজ ছিল না এই দাবি মিথ্যা।"
হার্দিক আরও লিখেছেন, "আমি একজন দায়িত্ববান ভারতীয় নাগরিক। ঘড়ির দাম প্রায় দেড় কোটি টাকার মতো, পাঁচ কোটি টাকা নয়। আমি আইন মেনে চলি। দেশের সমস্ত সরকারি সংস্থাকে শ্রদ্ধা করি। আমি মুম্বই এয়ারপোর্টে কাস্টমস আধিকারিকদের কাছ থেকে উপযুক্ত সহযোগিতা পেয়েছি। আমিও আমার তরফে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি। যা যা কাগজপত্র দরকার আমি তাঁদের দেব। আইন লঙ্ঘনের যাবতীয় অভিযোগ সবই মিথ্যা।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন