কেরিয়ারে প্রবল দুর্যোগ। এমন অবস্থায় টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন হার্দিক পান্ডিয়া। গত তিন বছর ধরে জাতীয় দলে ক্রমশ নিজের জায়গা হারিয়েছেন। পিঠে চোট। তারপরে অস্ত্রোপচার। তারপরে এখনও কামব্যাক করতে পারেননি তারকা অলরাউন্ডার।
টি২০ বিশ্বকাপের পরে জাতীয় দলের তিন ফরম্যাটে পাকাপাকিভাবে জায়গা হারিয়েছেন। এমন অবস্থায় সীমিত ওভারের কেরিয়ার দীর্ঘায়িত করার জন্য হার্দিক পান্ডিয়া টেস্ট থেকে অবসর নিয়ে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন: আমাকে বাদ দাও! নির্বাচকদের কাছে হার্দিকের বেনজির আর্জিতে তোলপাড় ক্রিকেট
বোর্ডের এক আধিকারিক সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন ইনসাইড স্পোর্টস-কে। "চোট আঘাতে বিপর্যস্ত হার্দিক। আমাদের সরকারিভাবে কিছু না জানালেও হার্দিক টেস্ট থেকে অবসর নিয়ে নিতে পারেন। যাতে টি২০ এবং ওয়ানডে দুই ফরম্যাটে আরও মনোনিবেশ করতে পারেন। যদিও হার্দিক টেস্টে আমাদের পরিকল্পনায় আপাতত নেই। এটা জাতীয় দলের কাছে বড় ধাক্কা। তবে আমাদের ব্যাকআপ ভেবে রাখতে হবে।" এমনটাই জানিয়েছেন সেই আধিকারিক।
টেস্টে কোনওদিনই নিয়মিত ছিলেন না হার্দিক। শেষবার জাতীয় দলের জার্সিতে পাঁচদিনের ক্রিকেট খেলেন ২০১৮-এ, ইংল্যান্ডে। তারপরে ক্রমাগত চোট আঘাত এবং টিম কম্বিনেশনে টেস্ট দলে জায়গা হারিয়েছেন। গত এক বছর ধরে ওয়ানডে, টি২০-তো বটেই আইপিএলেও বল করেননি পিঠের চোটের কারণে। নিয়মিত বোলিং না করায় টেস্টে জায়গা হারিয়েছেন বহুদিন। বল না করলে টেস্টে নেওয়া সম্ভব নয়, সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।
আরও পড়ুন: সানরাইজার্সের সঙ্গে রশিদ খানের মন কষাকষি তুঙ্গে, দল ছাড়ার মুখে সুপারস্টার
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে গলে ২০১৭-য় হার্দিকের টেস্ট অভিষেক ঘটে। ১১ টেস্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হার্দিক করেছেন ৩১.২৯ গড়ে ৫৩২ রান। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর ১০৮। সমসংখ্যক ম্যাচে হার্দিক ১৭ উইকেট নিয়েছেন। সেরা বোলিং ফিগার ৩১/৬। ২০১৮-য় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কেরিয়ারের একবারই ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন।
গত ২-৩ বছর ধরেই পিঠের চোটে কাবু তিনি। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে যাতে ফের একবার পুরোনো ছন্দে দেখা যায় হার্দিককে, সেই কারণেই টেস্টকে আলবিদা জানাতে চলেছেন। সরকারিভাবে বোর্ডকে এখনও নিজের আসন্ন পরিকল্পনার কথা জানাননি তারকা। তবে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাতে তাঁকে বিবেচনা না করা হয়, তা অনুরোধ করেছেন নির্বাচকদের।
হার্দিককে কি পুরোনো ছন্দে দেখা যাবে, সেটাই এখন দেখার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন