কপিল দেবের ধারে কাছে আসে না হার্দিক পান্ডিয়া। বরং বিশ্বমানের ক্রিকেটার হয়ে ওঠাই বাকি রয়ে গেছে। এমনটাই জানিয়ে দিলেন আব্দুল রাজ্জাক। পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজ্জাক আরো জানালেন, বুমরাকে 'বেবি বোলার' কমেন্ট ভুলভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে।
পিটিআইকে রাজ্জাক জানিয়েছেন, "পাণ্ডিয়া একজন ভালো ক্রিকেটার। তবে আরো ভালো অলরাউন্ডার হয়ে উঠতে পারে ও। পুরোটাই পরিশ্রমের উপর নির্ভর করছে। যখন তুমি খেলাকে বেশি সময় না দাও, তখন দৃষ্টি ঘুরে যায়।"
মহম্মদ আমিরের পারফরম্যান্স এর উদাহরণ টেনে তিনি জানিয়েছেন, "শারীরিক ভাবে তো বটেই মানসিক ভাবেও ওকে প্রস্তুতি নিতে হবে। সম্প্রতি ও বারেবারেই চোট আঘাতের শিকার হয়েছে। একটু বেশি অর্থ উপার্জন করলেই রিলাক্স করতে চায় অনেকে। আমিরও পরিশ্রম করা বন্ধ করেছিল। পারফরম্যান্স অনেকটাই খারাপ হয়ে যায় সেই সময়।"
২০১৬ সালে জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক ঘটে পাণ্ডিয়ার। ব্যাটে বলে পারফরম্যান্সের সুবাদে কিংবদন্তি কপিল দেবের সঙ্গেও তুলনা শুরু হয়ে যায়। তবে রাজ্জাক জানিয়ে রাখছেন, এখনই সেই তুলনা করা ঠিক নয়, "কপিল দেব ও ইমরান খান সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার। সেই ক্রিকেটারদের ধারে কাছে আসে না হার্দিক। আমিও অলরাউন্ডার ছিলাম। তার মানে এই নয় যে নিজেকে ইমরান ভাইয়ের সঙ্গে তুলনা করবো।"
রাজ্জাক অবশ্য গত বছরই বিতর্ক তৈরি করেছিলেন বুমরাকে 'বেবি বোলার' বলে। পাকিস্তানের জার্সিতে ২৬৫টি ওডিআই, ৪৬ টেস্ট ও ৩২টি ওডিআই খেলা রাজ্জাক নিজের সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন এদিন। বলেছেন, "বুমরার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত কোনো খারাপ লাগা নেই। তবে আমি কেবল গ্লেন ম্যাকগ্রাথ, ওয়াসিম আক্রম, কার্টলে এমব্রজ, শোয়েব আখতারদের সঙ্গে তুলনা করছিলাম। ওদের মোকাবিলা করা অনেক কঠিন ব্যাপার ছিল। আমার বক্তব্য ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে।"
সেই সঙ্গে পাক অলরাউন্ডারের আরো সংযোজন, "বুমরা ধীরে ধীরে বিশ্বমানের হওয়ার পথে এগোচ্ছে। তবে আমাদের সময়ে বোলাররা আরো উচ্চমানের ছিল। এটা কেউই অগ্রাহ্য করতে পারবে না।"