সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জী (এনপিআর)-র বিরুদ্ধে দেশজোড়া বিক্ষোভ চলছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে জনতা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন কেন্দ্রীয় সরকারের আইনের বিরুদ্ধে। সেই প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরেই এবার তাল মেলালেন প্রখ্যাত ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলে। ফেসবুকে সিএএ ও এনপিআরের বিরুদ্ধে লম্বা পোস্টও করলেন তিনি। যা আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
নিজের ফেসবুক পোস্টে হর্ষ লিখেছেন, "নির্বাচনে জেতার অর্থ এই নয় যে নিজেদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতে হবে। বিশ্ব সম্পর্কে আমার অপরিপক্ক দৃষ্টিভঙ্গী আমাকে বলে যে উদারনীতি, খোলা এবং একত্রিত থাকার মানসিকতার মাধ্যমে অনেক সুযোগ তৈরি করলে আরও নির্বাচনে জেতা সম্ভব।"
আরও পড়ুন হর্ষ ভোগলেকে খোঁচা দিয়ে বিপাকে মঞ্জরেকর
পাশাপাশি বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধে হর্ষের আরও সংযোজন, ভারত ভঙ্গুর নয়। প্রখর বুদ্ধিদীপ্ত তারুণ্যের দীপ্তিতে ভরপুর এই দেশ। সেই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, ভারতীয়রা অবশ্যই প্রাতিষ্ঠানিক বিরোধীতায় সরব হোক, তবে অবশ্যই তা সংযমের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। হতাশাও প্রকাশ করতে পারেন। তবে সবকিছুর আগে মনে রাখতে হবে তাঁরা প্রত্যেকেই ভীষণভাবে ভারতীয়।
আরও পড়ুন ক্যাব পাশ হলে নিজেকে মুসলিম ঘোষণা করবেন সমাজকর্মী হর্ষ মান্দার
নিজের পোস্টে প্রাক্তন দুই প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করে জানিয়েছেন, দেশ তাঁদের থেকে কীভাবে উপকৃত হয়েছিল। হর্ষ জানিয়েছেন, "ত্রিশের গোড়ায় যখন আমার বয়স, সেই সময়েই দু-জন বিপ্লব এনেছিলেন এই দেশে। উদারনীতির মাধ্যমে বিশ্বের কাছে দেশকে খুলে দিয়েছিলেন পিভি নরসীমা রাও। অন্যদিকে, মনমোহন সিং-ও সমঝোতা করে বাজেট পেশ করেছিলেন।"
Read this @bhogleharsha piece. It requires a lot of courage to write this for someone who has a lot to lose from questioning the establishment. https://t.co/MZWZA4RMI7
— Pradeep Magazine (@pradeepmagazine) December 24, 2019
ভোগলের প্রতিবাদী এই পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সাড়া ফেলেছে। অনেকেই তাঁর সাহসের প্রশংসা করেছেন। যেভাবে চোখা চোখা বিশেষণের মাধ্যমে হর্ষ কেন্দ্রীয় সরকারের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন, তাতে হর্ষকে কুর্নিশ করছেন বিরোধীরা। তবে অনেকেই আবার হর্ষকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি। তাঁদের বক্তব্য, হর্ষ ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হিসেবে উঁচুদরের সন্দেহ নেই। তবে বাস্তব সমস্যা না বুঝেই যেভাবে সরব হয়েছেন, তাতে তাঁর পরিণতিবোধ নিয়ে সন্দেহ রয়ে যাচ্ছে।
Read the full article in ENGLISH