Hasan Ali Champions Trophy: দরকারে ভারতকে ছাড়াই হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, বিসিসিআইকে ভয়ংকর হুঁশিয়ারি পাক তারকার
Champions Trophy: ভারত ২০০৫-০৬ সাল থেকে পাকিস্তান সফর করেনি। দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতরের কারণে দুই দল ২০১২-১৩ সাল থেকে কোনও দুই দলীয় সিরিজ খেলেনি।
Champions Trophy: ভারত ২০০৫-০৬ সাল থেকে পাকিস্তান সফর করেনি। দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতরের কারণে দুই দল ২০১২-১৩ সাল থেকে কোনও দুই দলীয় সিরিজ খেলেনি।
India-Pakistan: টি২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারানোর পর ভারতীয় দলের খেলোয়াড়রা। (ছবি- টুইটার)
Hasan Ali Champions Trophy in Pakistan: পাকিস্তানের পেসার হাসান আলি বলেছেন যে আগামী বছর পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে ভারতের পাকিস্তানে 'আসা উচিত'। যদি ভারতীয় দল পাকিস্তানে না আসে, তবে তাদের ছাড়াই পাকিস্তান এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করবে।
Advertisment
এক টিভি অনুষ্ঠানে ওই তারকা বলেছেন, 'আমরা যদি ভারতে খেলতে যাই, তাহলে তাদেরও পাকিস্তানে আসা উচিত। খেলাধুলাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার কথা অসংখ্যবার অনেকে বলেছেন। আপনি যদি অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেন, অনেক ভারতীয় খেলোয়াড়ও সাক্ষাত্কারে বলেছেন যে তাঁরা পাকিস্তানে খেলতে চান। সুতরাং, এর মানে এই নয় যে দল আসতে চায় না; তারা অবশ্যই চায়। কিন্তু, তাদের নিজস্ব নীতি, দেশ এবং বোর্ড ব্যাপারটা ঠিক করে।'
হাসান বলেন, 'আমাদের (পিসিবি) চেয়ারম্যান আগেই বলেছেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি যদি পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে তা পাকিস্তানেই হবে। ভারত যদি না আসতে চায়, আমরা তাদের ছাড়াই খেলব। পাকিস্তানে ভারতের ক্রিকেট খেলা উচিত। আর, ভারত যদি অংশগ্রহণ করতে না চায়, তার মানে এই নয় যে ক্রিকেট শেষ হয়ে গেছে। ভারত ছাড়া আরও অনেক দল আছে।'
ভারত ২০০৫-০৬ সাল থেকে পাকিস্তান সফর করেনি। দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতরের কারণে দুই দল ২০১২-১৩ সাল থেকে কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেনি। আগামী বছর হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সেখানেও ভারতীয় দলের পাকিস্তান সফরে যাওয়া নিয়ে সংশয় আছে। প্রাক্তন পিসিবি প্রধান খালিদ মাহমুদও সম্প্রতি স্বীকার করে নিয়েছেন যে পাকিস্তানে ভারতের ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা কম।
Advertisment
India-Pakistan: ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসরে ভারতকে হারিয়ে পাকিস্তান জিতেছিল। (ছবি- এপি)
মাহমুদ ক্রিকেট পাকিস্তানকে বলেছেন, 'ভারতের পাকিস্তানে খেলতে রাজি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। বিসিসিআই সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড। তাদের প্রভাবও বেশ বেশি। যদি তারা পাকিস্তানে দল না পাঠায়, আমার মনে হয় যে শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের মত দেশও সেই পথ নেবে।'
মাহমুদ বলেন, 'দেখুন ব্যাপারটা হল এই স্তরে আপনি লবি করতে পারেন। অন্য বোর্ডকে আপনার পাশে থাকার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করতে পারেন। আইসিসিতে ভারতের অত্যধিক দাপট রয়েছে। তাই পাকিস্তানের জন্য একটি টিট-ফর-ট্যাট কৌশল অবলম্বন করা ঠিক হবে না। ব্যাপারটা হল, যখন বিসিসিআই বলেছে যে তারা দল পাঠাতে পারবে না এবং পাকিস্তানের বাইরে তার ম্যাচ খেলবে, সেটা পাকিস্তানের এই আইসিসি ইভেন্ট আয়োজনের উদ্দেশ্যকেই আঘাত করেছে। কারণ, সেখানে পাকিস্তান স্রেফ নামমাত্র আয়োজক দেশ হয়ে থাকছে।'
২০২১ সালেই আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য পাকিস্তানকে আয়োজক দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। ২০১৭ সালে শেষবার আট দলের এই টুর্নামেন্ট আয়োজন হয়। সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান সেইবার ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিল।