Gautam Gambhir condition to Hardik Pandya: অধিনায়ক এবং সহ-অধিনায়ক হওয়ার সম্ভাবনা আগেই নষ্ট হয়েছে। এবার হার্দিক পান্ডিয়ার সামনে কি আরও বড় বিপদ অপেক্ষা করছে? কারণ, জাতীয় দল নির্বাচন কমিটির বৈঠকে এটা স্পষ্ট যে ভালো কিছু করে দেখাতে না পারলে টিম ইন্ডিয়ায় হার্দিক পান্ডিয়ার জায়গাটাও পাকা নয়। বিসিসিআইয়ের একজন কর্তা এই বাছাই বৈঠকে ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর ও অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়ার মধ্যে কথোপকথনের বিবরণ প্রকাশ করেছেন। আর, সেই বিবরণই নতুন শঙ্কার জন্ম দিয়েছে।
যা বুঝিয়ে দিয়েছে যে হার্দিক পান্ডিয়ার কঠিন সময় এখনও শেষ হয়নি। প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর এবং প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকারের সক্রিয় ভূমিকার কারণে পান্ডিয়া ভারতের টি২০ দলের অধিনায়কত্ব পাওয়ার দৌড়ে সূর্যকুমার যাদবের কাছে হেরে গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতেই প্রকাশ্যে এসেছে যে ভারতের একদিনের দলেও হার্দিক পান্ডিয়ার জায়গা নিশ্চিত নয়। হার্দিক, শ্রীলঙ্কা সফরে একদিনের ম্যাচ থেকে বিরতি চেয়েছেন। যা নির্বাচক কমিটির কিছু সদস্য খোলা মনে গ্রহণ করেননি। তাঁরা, পালটা হার্দিককে টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানিয়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে, হার্দিক হামেশাই চোট-আঘাতে ভোগেন। আর, এই কারণেই তাঁর অধিনায়কত্বের সম্ভাবনা খারিজ হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার যখন নির্বাচকরা হার্দিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, তাঁরা তাঁকে জানিয়েছিলেন যে অধিনায়ক রাখা হবে না। তাঁরা এখন হার্দিককে কেবল পেস বোলার কাম অলরাউন্ডার হিসেবে দেখছেন। একইসঙ্গে হার্দিককে জানানো হয়, তাঁকে পুরো ১০ ওভার বল করার মত ফিট থাকতে হবে। চলতি বছরের শুরুর দিকে, বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ স্পষ্ট জানিয়েছেন, সমস্ত খেলোয়াড়কে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে হবে। ইনজুরিজনিত কারণে জাতীয় দল থেকে ছাঁটাইয়ের পরে ওই খেলোয়াড়রা যদি ভারতীয় দলে ফিরে আসতে চান, তবে তাঁদের সেটাই করতে হবে। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি এবং জাসপ্রিত বুমরাহকে অবশ্য এই কড়াকড়ি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, পান্ডিয়া সেই সুবিধা পাননি।
হার্দিকের সঙ্গে এই কথোপকথোনের সময় নতুন কোচ গৌতম গম্ভীর তারকা অলরাউন্ডারকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে তাঁর বোলিং করার মত ফিটনেসের প্রমাণ হিসেবে বরোদার হয়ে হার্দিককে বিজয় হাজারে ট্রফি খেলতে হবে। বিসিসিআইয়ের এই কর্তা এই প্রসঙ্গে বলেন, 'হার্দিককে গম্ভীর মনে করিয়ে দিয়েছেন যে তাঁকে ওয়ানডেতে তাঁর পুরো কোটার (১০ ওভার) বোলিং করতে হবে।' বিসিসিআই প্রেস রিলিজেও বলেছে, বোর্ড 'আসন্ন ঘরোয়া ক্রিকেট মরশুমে খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ এবং তাঁদের পারফরম্যান্সের ওপর নজর রাখবে'।
হার্দিক ২০২৩ সালের একদিনের বিশ্বকাপের পর থেকে ৫০ ওভারের কোনও ক্রিকেট খেলেননি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গ্রুপ-পর্যায়ের ম্যাচে বোলিং করার সময় তাঁর গোড়ালি মোচকানোর কারণে খেলতে পারেননি। এই ইনজুরির কারণে তিনি চার মাস খেলার বাইরে ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও খেলতে পারেননি। তবে, তিনি তিনি পুরো আইপিএল মরসুম খেলে ফিটনেস প্রমাণ করেছেন। তার জেরে টি২০ বিশ্বকাপে জায়গা পেয়েছেন। টি২০ বিশ্বকাপেও তিনি ভারতীয় দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তবে নির্বাচকমণ্ডলী এবং কোচ গম্ভীর এখনও নিশ্চিত নন যে হার্দিক এখনও একদিনের ক্রিকেট খেলার জন্য প্রস্তুত। পান্ডিয়া তাঁর ফিটনেস প্রমাণের পরবর্তী সুযোগ পাবেন জানুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ চলাকালীন। তবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ভারতীয় দলে ঢুকতে হলে, তাঁকে ঘরোয়া মরশুমেই আসল পরীক্ষা দিতে হবে।