সোমবার সকালেই ইন্দ্রপতন। মোহালির হাসপাতালে প্রয়াত হকি কিংবদন্তি বলবীর সিং। তিনবার অলিম্পিকে সোনা জিতেছিলেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে ভারতীয় হকির একটা যুগের অবসান ঘটল। ৯৬ বছরের মহাতারকা বলবীর সিং নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন। চলতি মাসের ৮ তারিখে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শেষ কদিন ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল হকির জাদুগরকে।
এদিন পিটিআইকে মোহালির ফর্টিস হাসপাতালের ডিরেক্টর অভিজিৎ সিং জানান, "এদিন ভোর ৬.৩০ এর আশেপাশে উনি মারা যান।"
দেশের সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদ তিনি। শেষ দু বছর ধরেই হৃদপিন্ড জনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। একাধিক বার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এই সময়ে।
১৯৫৬ সালে সোনাজয়ী হকি দলের অধিনায়ক ছিলেন। ১৯৭৫ সালে বিশ্বকাপজয়ী দলের ম্যানেজারের ভূমিকায় পালন করেছিলেন।অলিম্পিকে সোনা জয়ী হকি দলের প্রবীণতম জীবিত সদস্য ছিলেন তিনি। সোমবার ভোর ৬.৩০ এর পরে এসবই অতীত। জানা গিয়েছে, আইসিইউ তে রাখা হলেও ক্রমাগত শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল তাঁর। শেষ পর্যন্ত মাল্টি অর্গান ফেলিওর হয়ে মৃত্যু ঘটে তাঁর।
১৯৫৭ সালে প্রথম হকি তারকা হিসাবে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। ১৯৭৭ সালে লেখেন নিজের আত্মীজীবনী 'দ্য গোল্ডেন হ্যাট্রিক, মাই হকি ডেজ'।
অলিম্পিকের ফাইনালে সর্বাধিক গোলের (৫টি) নজির ও তাঁর নামের পাশে। এখনো সেই রেকর্ড অক্ষত। ১৯৫২ সালে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে তিনি একাই করেছিলেন ৫ গোল। ভারত সেই ম্যাচ জেতে ৬-১ ব্যবধানে।
হকি কেরিয়ার সমাপ্ত হওয়ার পরে বলবীর সিং পাঞ্জাব স্টেট স্পোর্টস কাউন্সিলের সচিব ও পাঞ্জাব রাজ্য সরকারের ডিরেক্টরের ভূমিকাও পালন করেছিলেন। মৃত্যুর সময় তিনি রেখে গেলেন তিন পুত্র- কানোয়ালবির সিং, করণবীর সিং, গুরবীর সিং এবং এক কন্যা সুসবীরকে।