Gautam Gambhir Team India captain: গৌতম গম্ভীর কীভাবে ভারতের কোচ হলেন, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরও সেই জল্পনা অব্যাহত। সবাই যেন 'অন্দর কা খোঁজ'-এ ব্যস্ত। আর, তাতেই ভেসে আসছে অন্য গল্প। যে গল্প বলছে যে, কেকেআরের আইপিএল জয়ের সঙ্গে গম্ভীরের ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। এর পিছনে রয়েছে অন্য রহস্য।
কোনও আনুষ্ঠানিক কোচিং অভিজ্ঞতা ছাড়াই, গৌতম গম্ভীর দুটি আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে একজন পরামর্শদাতা বা মেন্টর হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১৯ সালের শেষের দিকে পেশাদার ক্রিকেট খেলোয়াড় হিসেবে অবসর নিয়েছিলেন। তারপর রাজনীতিতে, সরাসরি সাংসদ হওয়া। সেখান থেকে ফের ক্রিকেট দুনিয়ায় প্রত্যাবর্তন। সেই গম্ভীরকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) কীভাবে দেশের নতুন প্রধান কোচ করল, তা নিয়ে নানা কাহিনি, নানা প্রশ্ন ইতিমধ্যেই সামনে আসছে।
তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ধারণা হল যে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে মেন্টর হিসেবে গম্ভীর আইপিএল জিততে সাহায্য করেছেন। যাতে কেকেআরের দীর্ঘ এক দশকের অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। আর, কেকেআরের প্লেয়ার এবং সাপোর্ট স্টাফরাও টিমের নিখুঁত পরিবেশ তৈরিতে গম্ভীরের ভূমিকা সম্পর্কে সোচ্চার ছিলেন। সেটাই বিসিসিআইকে আকর্ষণ করেছে।
কিন্তু, অন্য একটি ধারণা হল, গম্ভীর কেকেআরকে আইপিএল জেতাতে পারলেন কি না, সেটা বিসিসিআই-এর কাছে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম গোষ্ঠীর দাবি, গম্ভীরকে ভারতের প্রধান কোচ পদে বসানোর জন্য কয়েক মাস ধরেই চেষ্টা চলছিল। কেকেআর আইপিএল খেতাব না জিতলেও গম্ভীরই টিম ইন্ডিয়ার কোচ হতেন। প্রধান কোচের সাক্ষাৎকার প্রক্রিয়াটি আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া আর কিছুই নয়। সে যাই হোক না কেন, বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, টিম ইন্ডিয়া তাদের ব্যাকরুম স্টাফের প্রধান হিসাবে কোনও বিদেশিকে চায় না। তাতে গম্ভীরের প্রধান কোচ হওয়ার রাস্তা আরও পরিষ্কার হয়েছিল।
আরও পড়ুন- গম্ভীরের টিম ইন্ডিয়ায় ‘একঘরে’ হবেন কোহলিরা! চরম আশঙ্কায় ভয়ঙ্কর ভবিষ্যৎবাণী এবার ডেল স্টেইনের
শেষ পর্যন্ত গম্ভীর এবং ডব্লিউভি রমন, বিসিসিআই-এর ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটির কাছে প্রধান কোচ পদে প্রার্থী হিসেবে সাক্ষাত্কার দেন। তাঁরা দুজনেই ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটি (CAC)-কে মুগ্ধ করেছিলেন বলে দাবি। কিন্তু, তখনও বারবার শোনা যাচ্ছিল যে গম্ভীরই নাকি প্রধান কোচ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন। আর, এতেই প্রশ্ন যে গম্ভীর প্রধান কোচ হওয়ার দৌড়ে সবক্ষেত্রে এগিয়ে ছিলেন, এর কারণটা কী?
৪২ বছর বয়সী, গম্ভীর ভারতের সর্বকনিষ্ঠ প্রধান কোচ। তিনি মাত্র সাড়ে পাঁচ বছর আগে অবসর নিয়েছেন। বিসিসিআইকে যেটা সবচেয়ে মুগ্ধ করেছে, তা হল ভারতীয় দলের ক্রিকেটার হিসেবে গম্ভীরের সাফল্য। সব ফরম্যাটের ক্রিকেট সম্পর্কে দুর্দান্ত জ্ঞান। ঘরোয়া ক্রিকেটের ব্যাপারে ব্যাপক খোঁজখবর রাখা। আর, দেশের জন্য একশোভাগ দিতে প্রস্তুত থাকা। প্রকৃতপক্ষে, বিসিসিআই যখন মে মাসে প্রধান কোচের জন্য আবেদন চেয়েছিল, তখন এগুলোই ছিল অলিখিত মানদণ্ড। আর, সেটা গম্ভীর পূরণ করেছেন। সেই জন্যই তাঁকে জাতীয় দলের প্রধান কোচ করা হয়েছে।