নিজের বিয়ের দিনেই সবথেকে বড় সারপ্রাইজটা পেয়েছিলেন। কিংবদন্তি ক্রিকেটার যে তাঁর বিয়েতে আগাম না জানিয়েই হাজির হয়ে যাবেন, তা আঁচও করতে পারেননি মনদীপ সিং। তিনটে ফ্লাইট, এবং লং ড্রাইভ করে মনদীপের বিয়েতে পৌঁছে গিয়েছিলেন স্বয়ং মহেন্দ্র সিং ধোনি।
স্পোর্টসক্রীড়ায় নিজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে পাঞ্জাবের ক্রিকেটার জানাচ্ছিলেন, "আমার বিয়ে ছিল ২০১৬ র ডিসেম্বরে। আমি মাহি ভাইকে নিমন্ত্রণ করেছিলাম। তবে ও জানায়নি আসবে কিনা। বরং ও আমাকে বলেছিল নিউইয়র্কে যাচ্ছে। তবে সেখান থেকেই বিয়েতে হাজির হয়ে আমাকে চমকে দিয়েছিল। নিজের ব্যস্ততার মধ্যে আমার জন্য সময় বের করে ধোনি এসেছিল। এটাই আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে রয়েছে।"
সেই সঙ্গে মনদীপ আরও জানিয়েছেন, "রাঁচি থেকে দিল্লি হয়ে অমৃতসর আসতে হলে তিনটে আলাদা ফ্লাইটে এ প্রয়োজন। সেইসঙ্গে ভীষণ কুয়াশা ও কাঁপানো ঠান্ডার মধ্যে দু ঘন্টার বেশি ড্রাইভ করে আমার বাড়িতে এসেছিল। আমার বাড়িতে আসতে এতটাই পরিশ্রম করেছিল ও। যদিও আমি ওঁর সঙ্গে খুব বেশি ম্যাচ খেলিনি। এটাই সরলতা। এটাই ওর গ্রেটনেস।"
শুধু বিয়েতে হাজির হওয়াই নয়, বিয়ের ভেন্যুতে বর মনদীপের আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন এমএস। ঘড়ির কাঁটায় তখন ৮টা। মনদীপ আরো জানান, ধোনি একইভাবে ইশান্ত শর্মা, সুরেশ রায়নার বিয়েতেও হাজির হয়ে চমকে দিয়েছিলেন।
ধোনির সঙ্গে নিজের সম্পর্ক জানাতে গিয়ে পাঞ্জাবের ক্রিকেটার বলছিলেন, "ধোনি কখনই আত্মপ্রচার করে না যে ও কতটা লেজেন্ডারি ক্রিকেটার। আমার মনে আছে ও আমার সঙ্গে খেতে বসত। দেশি খাবার, বিরিয়ানি অর্ডার করত। ওঁর সঙ্গে কাটানো সময়গুলো দারুণ ছিল।"
ধোনির নেতৃত্বে ২০১৬ সালে জিম্বাবোয়ে সিরিজে মনদীপ সিং টি টোয়েন্টিতে জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক ঘটান। সেই সিরিজে মনদীপই দলের সর্বোচ্চ স্কোরার হয়েছিলেন। ৩ ম্যাচে তাঁর সংগ্রহে ছিল ৮৭ রান। এর মধ্যে দ্বিতীয় ম্যাচে ৪০ বলে ৫২ও করেছিলেন।