Hyderabad in Ranji Trophy: আগামী তিন বছরের মধ্যে দল রঞ্জি জিতলে খেলোয়াড়দের মালামাল করে দেবেন। তাঁর দলের খেলোয়াড়দের বড় পুরস্কারের টোপ দিলেন হায়দরাবাদের ক্রিকেট সভাপতি জগনমোহন রাও অরিষ্ণাপালি। তিলক ভার্মার নেতৃত্বাধীন হায়দরাবাদ দল মঙ্গলবার প্লেট গ্রুপের ফাইনালে মেঘালয়কে ৫ উইকেটে হারিয়ে এলিট গ্রুপে উঠে এসেছে। আগামী বছর থেকে হায়দরাবাদ এলিট গ্রুপে খেলবে। আর তাতেই দিল খুশ হায়দরাবাদ ক্রিকেটের সভাপতির। তিনি জানিয়ে দেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে রঞ্জি জিতলেই দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি আর দলকে নগদ এককোটি টাকা দেবেন।
শুধু মৌখিক ঘোষণা করেই ক্ষান্ত হননি জগনমোহন রাও। সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এও তিনি সেই বার্তা দিয়েছেন। সেখানে রাও বলেছেন, 'রঞ্জির এলিট ট্রফি জিতলে আগামী তিন বছরের মধ্যে প্রত্যেক খেলোয়াড়কে বিএমডব্লিউ গাড়ি আর দলকে নগদ এক কোটি টাকা দেওয়া হবে।' হায়দরাবাদ দলের খেলোয়াড়দের মোটিভেশন বাড়াতেই যে তাঁর এই ঘোষণা, সেকথাও অবশ্য স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাও। তিনি বলেছেন, 'ক্রিকেটারদের অনুপ্রাণিত করতেই একথা ঘোষণা করেছি। আগামী বছরই লক্ষ্য পূরণ করতে চাই। তবে, বাস্তবের দিক থেকে বিচার করলে সেটা সম্ভব না। তাই খেলোয়াড়দের আগামী তিন মরশুম পর্যন্ত সুযোগ দিয়েছি।' রাও একথা বললেও হায়দরাবাদ যে একবারও রঞ্জি জেতেনি, তা কিন্তু, নয়। এর আগে তারা দু’বার রঞ্জি জিতেছে। সেটা ১৯৩৭-৩৮ এবং ১৯৮৬-৮৭ মরশুম। তবে, গত মরশুমে তারা এলিট গ্রুপ বি-তে সবার নীচে থেকে মরশুম শেষ করেছিল। নেমে গিয়েছিল প্লেট গ্রুপে।
এলিটে ওঠার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাও লিখেছেন, 'উৎপল স্টেডিয়ামে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলাম। রঞ্জি প্লেট ফাইনালে হায়দরাবাদ দলকে তাদের অসাধারণ জয়ের জন্য আমার আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের সবার কাছে এটি অত্যন্ত একটি গর্বের মুহূর্ত!' প্লেট ফাইনালজয়ী দলের সদস্যদেরও অবশ্য খালিহাতে থাকতে হচ্ছে না। তাঁদের জন্যও রাওয়ের সংস্থা আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছে। জয়ী দলকে মোট ১০ লক্ষ টাকা দেবে হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এইচসিএ)। আর, যাঁরা ভালো খেলেছে, তাঁদের দেওয়া হবে নগদ ৫০ হাজার টাকা করে।
আরও পড়ুন- ১ ওভারেই ৬ ছক্কার সুনামি ভারতে! শাস্ত্রী-রুতুরাজের বিষ্ফোরণ ফেরাল ২২ গজ! দেখুন ভিডিও
এর পাশাপাশি, এলিট গ্রুপে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছে হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থা। সেনিয়ে রাও জানিয়েছেন, 'রবিবার আমাদের বার্ষিক সাধারণ সভা ছিল। আমরা সেখানেই প্রস্তুতির ব্যাপারে আলোচনা করেছি। বর্তমানে জিমখানা মাঠে হায়দরাবাদ ক্রিকেট একাডেমি অফ এক্সিলেন্স চলছে। আমি শহরের চারটি জায়গায় স্যাটেলাইট একাডেমি তৈরির প্রস্তাব দিয়েছি। ক্রিকেটারদের এলাকার কাছাকাছি একাডেমিতে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে। বর্তমানে এইচসিএর অধীনে ১০টিরও বেশি জেলা আছে। আমরা সেখান থেকে প্রতিভাবানদের তুলে আনব। এজন্য প্রত্যেক জেলা সদরে একটি করে মিনি স্টেডিয়াম তৈরির পরিকল্পনাও আছে। মইন-উদ-দৌলা টুর্নামেন্টকেও নতুন করে সাজানো হবে।