তাঁর আউটের ধরণ নিয়ে নীতি-নৈতিকতার প্রশ্নে ক্রিকেট বিশ্বে সাইক্লোন বয়ে গিয়েছে। সমালোচনায় জর্জরিত হতে হচ্ছে প্রতিটি মুহূর্তে। নিয়মের অধীনে থেকে প্রতিপক্ষকে আউট করেও এমন চরম ধিক্কারের মুখে সম্ভবত সাম্প্রতিককালে পড়তে হয়নি কোনও তারকাকে। তবে আইপিএলের এই কাণ্ডের পরে কোনও প্রভাবই পড়ে নি অশ্বিনের জীবনে, এমনটাই বলছেন তারকা অফস্পিনার।
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অশ্বিন বলেছেন, "যাঁরা আমাকে চেনেন, প্রত্যেকের কাছেই এটা পরিষ্কার যে আমি এমন কিছুই করিনি, যা অনৈতিক। এমনকি দলও আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেক ক্রিকেটার, দলীয় সতীর্থ আমাকে জানিয়েছেন, আমি যা করেছি ঠিক করেছি।" এরপরেই অশ্বিনের সংযোজন, "এই ঘটনা আমার জীবনে বিন্দুমাত্র প্রভাব ফেলেনি। এটা জেনে ভাল লাগছে যে ওঁরা নিজের দেশের ক্রিকেটারের সমর্থনে মুখ খুলছেন। আমার দেশের ক্রিকেট সমর্থকদেরও আমার পাশে থাকা উচিত।"
আরও পড়ুন: যা করেছেন, বেশ করেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন
'জেন্টলম্যান্স গেম' ক্রিকেটে 'মানকড়িং' নিয়ে বিতর্ক বরাবরই ছিল। বিশুদ্ধ ক্রিকেটমোদীদের বক্তব্য, যে খেলাকে জেন্টলম্যান্স গেম বলা হয়, সেই খেলায় স্পিরিট বিরোধী কোনও নিয়মকে সমর্থন করা সম্ভব নয়। এই প্রসঙ্গেই অনেকে টেনে এনেছেন ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম পাকিস্তান ম্যাচের কথাও, যখন বোলার কোর্টনি ওয়ালশ পাকিস্তানের সেলিম জাফরকে আউট করার সুযোগ পেয়েও সুবিধা নেন নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ হেরে গেলেও ওয়ালশ বীরের সম্মান পেয়েছিলেন।
যদিও অশ্বিন বলছেন, কোনও আইন অনৈতিক মনে হলে তা তুলে দেওয়ার কথাও ভাবা যায়। তাঁর বক্তব্য, "আমার মনে হয়, যদি ক্রিকেটের স্পিরিট অন্তর্ভুক্ত করার কথা বারেবারেই বলা হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত, বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া।"