ইস্টবেঙ্গল- ১ (কাশিম আইদারা)
গোকুলম এফসি- ৩ (হেনরি কিসেক্কা, কাশিম আইদারা, মার্কাস জোসেফ)
৭২ ঘণ্টা পরেই ডার্বিতে নামতে হবে। তবে তার আগে লজ্জার হার হজম করতে হল আলেয়ান্দ্রো মেনেন্ডেজের দলকে। কল্য়াণীর মাঠে ইস্টবেঙ্গলকে বিব্রত করে গোকুলম জয় পেল ৩-১ ব্যবধানে। কাশিম আইদারা ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করলেও, গোকুলমের হয়ে গোল করে যান হেনরি কিসেক্কা এবং মার্কাস জোসেফ। বাকি গোলটি মার্তি ক্রেসপির আত্মঘাতী গোলের অবদান!
চার্চিলের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে হারের জ্বালা নিয়ে খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। জয়ে ফেরাই ছিল লক্ষ্য। তবে বড়সড় ব্যবধানে ইস্টবেঙ্গল হারায় ক্লাবের ডামাডোল আরও তীব্র হবে সন্দেহ নেই।
খেলার শুরু থেকেই ইস্টবেঙ্গল সমস্যায় পড়েছিল। মাঝমাঠ ও আক্রমণের কোনও সামঞ্জস্য ছিল না। বারেবারেই গোকুলমের ফুটবলাররা হানা দিচ্ছিল ইস্টবেঙ্গলের অর্ধে। ২০ মিনিটেই প্রথম গোল হজম করতে হয় লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। হেনরি কিসেক্কা দারুণ গোলে গোকুলমকে এগিয়ে দিয়েছিলেন।
গোকুলমের সেবাস্টিয়ান ডানপ্রান্তে কিসেক্কাকে লক্ষ্য করে বল বাড়িয়েছিলেন। সেই বল কন্ট্রোল করে রালতেকে পেরিয়ে দারুণ গোল করে যান মোহনবাগানের প্রাক্তন তারকা। তবে সেই লিড বেশিক্ষণন ধরে রাখতে পারেনি গোকুলম। ইস্টবেঙ্গল গোলশোধ করে কাশিম আইদারার সৌজন্যে। লালরিনডিকার ফ্রিকিক থেকে গোলমুখী হেড নিয়েছিলেন আশির আখতার। তবে সেই শট গোলপোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। রিবাউন্ড থেকে গোল করে যান কাশিম।
ঠিক যখন মনে হচ্ছিল কল্যাণীতে ম্যাচে ফিরে এসেছে ইস্টবেঙ্গল, সেই সময়েই বিপত্তি। বিরতির ঠিক আগে অতিরিক্ত সময়ে মার্তি ক্রেসপি নিজেদের গোলেই জল জড়িয়ে দেন। মার্কাসের গোলমুখী শট ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজের জালেই বল ঢুকিয়ে দেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গলকে আরও একটি গোল দেন মার্কাস জোসেফ। কিসেক্কার থেকে বল পেয়ে মার্কাস প্রথমে গোলমুখী শট নেন। সেই শট প্রতিহত করে দেন রালতে। তবে গোল হওয়া আটকাতে পারেননি ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার। বল হাতে রাখতে না পারায় সুযোগসন্ধানী জোসেফ বল জালে জড়াতে ভুল করেননি।
ইস্টবেঙ্গল- রালতে, আশির আখতার, কমলপ্রীত সিং, হাইমে স্য়ান্টোস, পিন্টু মাহাতো, কাশিম আইদারা, মার্কোস এস্পাদা, লালরিনডিকা রালতে, মার্তি ক্রেসপি, হুয়ান মেরা, অভিষেক আম্বেকর