ICC Champions Trophy, 2025: BAN vs NZ: Pacer Nahid Rana: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তিনিই বাংলাদেশের তুরুপের তাস, দ্রুততম পেসার। সুযোগ পেয়েছেন জাতীয় দলে। এই নাহিদ রানার ওপরই এখন বাংলাদেশের আশা, ভরসা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের বিরুদ্ধে না খেলা নাহিদকেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামিয়েছে টাইগাররা।
নাহিদ রানা তাঁর শিকড় সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন, 'আমার এলাকা ক্রিকেট বা খেলাধূলা নয়। আমের জন্য বেশি পরিচিত।' ভারতের বিরুদ্ধে বড় ম্যাচের আগে এক সাংবাদিক বৈঠকে বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাঁর পেস আক্রমণের প্রশংসা করেন। ২২ বছর বয়সি নাহিদ রানার প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, 'ও এখনও বেশি ম্যাচ খেলেনি। কিন্তু, ইতিমধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে।'
শান্ত বলেন, 'আমরা অতীতে ফাস্ট বোলিংয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এখন আমাদের দলে অনেক ভালো মানের বোলার আছে। একজন অধিনায়ক হিসেবে বিষয়টি আমার কাছে বেশ গর্বের ব্যাপার। আমাদের বোলাররা দ্রুতগতিতে বল করতে পারে। ওঁরা বেশ ভালো ফর্মে আছে। আশা করি ওঁরা প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের চাপে ফেলতে পারবে। রানার কিছুটা অভিজ্ঞতা ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে। ও ভারতের বিরুদ্ধে একটি টেস্টও খেলেছে। ওঁর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল, প্রতিপক্ষকে নিয়ে অতটা ভাবে না। বরং নিজের বোলিংকে কাজে লাগানোটাই ওঁর প্রধান লক্ষ্য থাকে। আর, সেজন্যই নাহিদ ম্যাচের জন্য মুখিয়ে থাকে।'
কে এই নাহিদ রানা?
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিই নাহিদ রানার প্রথম আইসিসি টুর্নামেন্ট। ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে বল করতে পারেন নাহিদ। নিয়মিত, ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বল করা তাঁর কাছে কোনও ব্যাপারই না। ২০২৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে তিনি ৬টি টেস্ট এবং ৩টি ওডিআই খেলেছেন।
২০২৪ সালে চেন্নাইয়ে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্টে তিনি দুই ইনিংসেই যশস্বী জয়সওয়ালের উইকেট নিয়েছিলেন। বিশেষ করে প্রথম ইনিংসে, ঘণ্টায় ১৪৮ কিলোমিটার গতিতে বল করে জয়সওয়ালকে আউট করেছিলেন নাহিদ। পরিচয় দিয়েছিলেন, নিজের ক্ষমতার।
আইসিসির ওয়েবসাইটে নাহিদ রানা বলেছেন, 'বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পাওয়া আমার কাছে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করছি। সবকিছু খুব দ্রুত ঘটেছে, এজন্য আমি আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মানিয়ে নেওয়া সহজ না। আমি সৌভাগ্যবান যে, অভিষেকের আগে বেশ কিছু প্রথম-শ্রেণির ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছি। আমি মনে করি, এটি আমার জন্য একটা বিরাট ব্যাপার ছিল। এতে আমি বিভিন্ন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট একেবারেই একটি আলাদা স্তর।'
আরও পড়ুন- বাবর আজম একজন প্রতারক, পাকিস্তান হারতেই বলে দিলেন শোয়েব আখতার
দ্রুত জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া
নাহিদ রানা টেপ টেনিস বলে ক্রিকেট খেলে বড় হয়েছেন। বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক ক্রিকেটেও তিনি খুব একটা সুযোগ পাননি। রাজশাহিতে বেড়ে ওঠা এই পেসার বলেন, 'আমাদেরএলাকা আমের ফলনের জন্য বেশি বিখ্যাত, ক্রিকেটের জন্য নয়। আমি মূলত টেপ টেনিস বলে ক্রিকেট খেলতাম এবং তখন থেকেই বুঝতে পারতাম যে, আশেপাশের অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি গতিতে বল করতে পারি। আমার উচ্চতার জন্যই আমি অন্যদের চেয়ে বলে বেশি বাউন্স করাতে পারতাম।'