আগেই জানা গিয়েছিল করোনা পরবর্তী ক্রিকেটে বেশ কিছু পরিবর্তন আসবে। আইসিসির ক্রিকেট কমিটি সোমবারই বলে শাইন করার জন্য লালার ব্যবহার নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করল। তবে ঘাম ব্যবহার করা যাবে।
অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন আইসিসির ক্রিকেট কমিটি এই ঘোষণায় শীলমোহর দেয়। সোমবারই অনিল কুম্বলে সহ ক্রিকেট কমিটির বাকি সদস্যরা ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠকে বসে বলের পরিবর্তন গত বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। তারপরেই জানিয়ে দেয় লালা কোনভাবেই ব্যবহার করা যাবে না।
কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল আইসিসির ক্রিকেট কমিটি। কারণ হিসাবে কমিটি বলছে, সংক্রমণ যাতে কোনোভাবেই ছড়াতে না পারে, সেই জন্য এই পরিবর্তন আনা প্রয়োজন ছিল। বলে লালার ব্যবহার সংক্রমণের সম্ভবনা বাড়িয়ে দিতে পারে। লালায় নিষেধাজ্ঞা জারি করার আগে কমিটি আইসিসির মেডিক্যাল এডভাইসারি কমিটির চেয়ারম্যান চিকিৎসক পিটার হারকোর্টের সঙ্গেও আলোচনা করে। হু-এর তরফেও জানানো হয়েছিল কোভিড ১৯ ভাইরাস শ্বাস-প্রশ্বাসের ও ডপলেটের মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে অন্যের কাছে সংক্রমিত হয়ে থাকে। ক্রিকেট কমিটির প্রত্যেক সদস্যই এই বিষয়ে একমত হয়েছেন।
তবে বলে লালা ব্যবহার না করা গেলেও ঘাম শাইন করার জন্য লাগাতে পারবেন বোলাররা। আইসিসির ক্রিকেট কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঘামের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াতে পারে, এমন দৃষ্টান্ত নেই। তবে মাঠ ও মাঠেও বাইরে ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নিয়ম কঠোরভাবে পালন করতে বলা হয়েছে। ঘামকে ছাড় দেওয়ার আগে হু, জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সুরক্ষাবিধি অনুসরণ করা হয়েছে। যেখানে ঘামকে ভাইরাস সংক্রমণের মাধ্যমের তালিকা থেকে বাইরে রাখা হয়েছে।
পাশাপাশি, আইসিসির তরফে নিরপেক্ষ আম্পায়ার ম্যাচ পরিচালনার ক্ষেত্রেও কিছু পরিবর্তনের সুপারিশ আনা হয়েছে। ২০০২ সাল থেকে নিরপেক্ষ আম্পায়ার নীতি চালু করেছিল আইসিসি। এই নীতি অনুযায়ী, টেস্টে দুজন এবং ওয়ানডেতে একজন অনফিল্ড নিরপেক্ষ আম্পায়ারকে থাকতে হবে। তবে করোনা পরবর্তী সময়ে এই নিয়ম বলবৎ করে রাখা নিয়ে সন্দিহান ক্রিকেটমহল।
বিভিন্ন দেশে লকডাউন নিয়ম চালু রয়েছে, বাইরের দেশের নাগরিকদের প্রবেশ নিয়ে করা নিয়ম চালু রয়েছে একাধিক দেশে। সেই কারণেই কমিটির তরফে বলে দেওয়া হল, নিরপেক্ষ দেশের আম্পায়ার না পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট আয়োজনকারী দেশের স্থানীয় আম্পায়ার ম্যাচ পরিচালনা করতে পারবেন।
এসব ক্ষেত্রে আম্পায়ার নিয়োগ করা হবে আইসিসির স্থানীয় এলিট প্যানেল ও আন্তর্জাতিক প্যানেলের অন্তর্ভুক্ত অফিশিয়ালদের থেকেই। এলিট প্যানেলের আম্পায়ার কোনও দেশে না থাকলে ইন্টারন্যাশনাল প্যানেল থেকে ‘সেরা’ একজনকে নিয়োগ করা হবে।
এর সঙ্গে প্রযুক্তির বাড়তি প্রয়োগের ক্ষেত্রেও সওয়াল করা হয়েছে। প্রতি দলকে অতিরিক্ত একটি ডিআরএস ব্যবহার করার সুপারিশ করা হয়েছে।
জুনের শুরুর দিকের আইসিসি বৈঠকে বসতে পারে। সেখানেই কমিটির ক্রিকেট সংক্রান্ত প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হতে পারে। সেখানে এই নিয়মে আইসিসির সবুজ সংকেত পাওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা। এমনটাই বলছে ক্রিকেট মহল।