বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় ক্ষোভের মুখে হেড কোচ রবি শাস্ত্রী। সমর্থকদের নিশানার তির কখনও বিরাট কোহলির দিকে, কখনও আবার ধোনির দিকে। ভারতের হারের ময়নাতদন্ত করছেন ক্রিকেট ভক্তরা। তবে স্বস্তিতে নেই জাতীয় নির্বাচকরাও। ব্য়র্থতার আঙুল উঠেছে নির্বাচকদের দিকেও। চার নম্বর পজিশন নিয়ে অতিরিক্ত পরীক্ষা নিরীক্ষার পথে যাওয়ার জন্যই আসল সময়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে টিম ইন্ডিয়া। এমনটাই বলছে বিশেষজ্ঞ মহল। এর এই ব্যর্থতার দায় চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে পাঁচ নির্বাচক- দেবাং গান্ধী, গগন খোড়া, যতীন পরাঞ্জপে, শরণদীপ সিং এবং প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রসাদের উপরে।
গোটা টুর্নামেন্ট জুড়েই চার নম্বর ব্যাটিং পজিশন ঘিরে অস্বস্তি রয়ে গিয়েছে। বিরাট কোহলি লোকেশ রাহুলকে চার নম্বর পজিশনে চেয়েছিলেন। আবার নির্বাচক প্রধান এমএসকে প্রসাদ সরাসরি এই পজিশনের জন্য বিজয়শঙ্করের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন, বিশ্বকাপের দল নির্বাচনের প্রথম দিন থেকে। তবে টুর্নামেন্টের শুরুর কয়েকটি ম্যাচ পরেই শিখর ধাওয়ান চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ার পরে লোকেশ রাহুলকে ওপেনার হিসেবে খেলানো হতে থাকে।
আরও পড়ুন ধোনিকে নিয়ে মুখ খুললেন শাস্ত্রী, উত্তর দিলেন ‘জাতীয় প্রশ্নের’
ধোনিকে বেনজির অপমান যুবরাজের বাবা-র! বিস্ফোরক অভিযোগ মাহির বিপক্ষে
তারপরে বিজয়শঙ্করকেই চার নম্বর পজিশনে ভাবা হতে থাকে। তবে কিছুদিন যেতে না যেতেই দক্ষিণী অলরাউন্ডার চোট পেয়ে ছিটকে যান। তারপরে ঋষভ পন্থকে তড়িঘড়ি উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে চার নম্বরে খেলানো হতে থাকে। নক আউট পর্বে মায়াঙ্ক আগারওয়ালকেও খেলানোর কথা ভেবে রেখেছিল টিম ইন্ডিয়া। যদিও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন ঋষভ। সেদিন ভাল শুরু করেও ফিনিশ করতে পারেননি ঋষভ।
বোর্ডের এক আধিকারিক জানান, "কোনও টুর্নামেন্ট জেতার পরে নির্বাচকদের আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করা হয়। তবে খারাপ পারফরম্যান্সের পরে সবসময়ে ক্রিকেটারদেরই সমালোচিত হতে হয়। নির্বাচক প্রধান ভারতের সমস্ত বিদেশের ম্যাচে খেলা দেখেন। অ্যাওয়ে ট্যুরে থাকেন। উনি নিশ্চয় জানবেন, দলের কোন পজিশনে সমস্যা রয়েছে। ৪ নম্বর পজিশনে ব্যর্থতার দায়ভার প্রধান নির্বাচককে নিতেই হবে।"
এতেই স্পষ্ট বিসিসিআই নির্বাচকদের জন্য শাস্তির ডালি নিয়ে তৈরিই থাকবেন। সেই বোর্ড কর্তাকে আরও বলতে শোনা গিয়েছে, ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স বিচার করার জন্য নির্বাচকরা থাকেন। কিন্তু, তাঁদের পারফরম্যান্স কে খতিয়ে দেখবে! নির্বাচকরা অন্য কিছুর জন্য প্রভাবিত হয়েছেন কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার।
জানা গিয়েছে, পরবর্তী বার্ষিক সাধারণ সভা পর্যন্ত নির্বাচকদের চেয়ার অক্ষত থাকছে। তবে সেই সভার পরে ছাঁটাই হতে চলেছেন তিন-জন। সূত্রের খবর, এমএসকে প্রসাদের সঙ্গে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে দেবাং গান্ধী এবং শরণদীপ সিংকে।