চোখের জলে বিদায় নিয়েছেন ২৪ ঘণ্টাও হয়নি। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মর্মান্তিকভাবে হেরে ছিটকে গিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। আউট হওয়ার পরে ধোনির চোখে জল দেখে মন আর্দ্র হয়নি, এমন ক্রিকেটপ্রেমী নেই। যাইহোক, ধোনি নাকি নাগরিকত্ব ছেড়ে দেবেন, এমন প্রশ্নেই আপাতত উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। ঘটনার নেপথ্যে কিউয়ি নেতা কেন উইলিয়ামসন।
ম্যাচের পরে যখন ১৩০ কোটির দেশ শোকে নিমজ্জিত, সেই সময়েই সাংবাদিক সম্মেলনে কেন উইলিয়ামসনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ধোনি কি নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলতে পারবে? একটুও না ভেবে ক্যাপ্টেন কেন-এর জবাব, "ধোনি নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলতে পারবে না।"
একটু থেমে উইলিয়ামসন বললেন, "ধোনি কি নাগরকিত্ব বদলাতে রাজি? তাহলে আমরা দল নির্বাচনের সময়ে ভেবে দেখতে পারি।" ধোনিকে কার্যত পরোক্ষে সম্মান প্রদর্শনের পরেই কিউয়ি নেতা ধোনি-বন্দনায় মাতলেন, ও একজন ওয়ার্ল্ড ক্লাস প্লেয়ার। যদি আমি ভারতের ক্যাপ্টেন হতাম! এই পর্যায়ের ক্রিকেটে ধোনির অভিজ্ঞতা এবং অবদান ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। জাদেজা দুই দলের মধ্যে সবথেকে ভাল বল হিট করছিল। ওর সঙ্গে ধোনির পার্টনারশিপ দারুণ ছিল। ধোনি সবসময়েই একজন বিশ্বমানের ক্রিকেটার।"
আরও পড়ুন আউট হয়ে কেঁদে ভাসালেন ধোনি! হৃদয় ভাঙল একশো কোটির, রইল ভিডিও
ধোনি এবার গোটা বিশ্বকাপেই শিরোনামে। অবশ্য পারফরম্যান্সের জন্য নয়। নেতিবাচক কারণে বারেবারেই খবরে উঠে এসেছেন। প্রথমে গ্লাভসে বলিদান-চিহ্ন নিয়ে নেমে আইসিসির লাল চোখের সামনে পড়েছিলেন। তারপর একাধিকবার মন্থর ব্যাটিংয়ের জন্য আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর অবাক-মন্থর ব্যাটিং বিশ্বজুড়ে চরম নিন্দিত হয়েছিল। তাঁর অবসর নিয়েও জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল।
তার-ই যেন প্রায়শ্চিত্ত ঘটল ম্যাঞ্চেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে। সেই রান তাড়া করতে নেমে হারের জন্য শিরোনামে তাঁর অতিরিক্ত স্লো ব্যাটিং। আস্কিং রেট ১২ পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ধোনি হাত খুলে খেললেন কই। গুরুত্বপূর্ণ জাদেজা-ধোনি পার্টনারশিপ ম্যাচে ফিরিয়ে আনে ভারতকে। জাদেজা যেখানে মারমুখী ৫৯ বলে ৭৭, সেখানে ধোনির ৬৯ স্ট্রাইক রেট রেখে ৭২ বলে ৫০। শেষদিকে ফিনিশ করে আসার আগেই গাপ্টিলের দুর্ধর্ষ থ্রো-য়ে আউট তিনি। ম্যাচের সম্ভবনার সেখানেই সলিল সমাধি।