স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন। তবে বিশ্বকাপের আগেই প্রাথমিক ১৫ জনের স্কোয়াড বাদ পড়তে হয়েছিল। মহম্মদ আমের হাল ছাড়েননি। শেষ পর্যন্ত পারফরম্যান্স করেই বিশ্বকাপের দলে জায়গা করে নিলেন তিনি। পাশাপাশি পাকিস্তানের চূড়ান্ত স্কোয়াডে নেওয়া হয়েছে অন্য বাঁ-হাতি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ ও ব্যাটসম্যান আসিফ আলিকে।
এই তিনজনের বদলে বাদ পড়তে হয়েছে আবিদ আলি, ফাহিম আশরাফ এবং জুনায়েদ খানকে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই তিন ক্রিকেটারের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নন নির্বাচকরা। আমেরকে শেষ মুহূর্তে স্কোয়াডে নেওয়ার কারণ হিসেবে পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক ইনজামাম উল হক, ইংলিশ কন্ডিশনে আমেরের কার্যকারিতাকেই তুলে ধরছেন। তিনি বলেছেন, "বিশ্বকাপে মোহাম্মদ আমেরকে নেওয়া হচ্ছে, কারণ অন্যান্য বোলারদের বলের গতি ইংলিশ উইকেটে কার্যকরী প্রমাণিত হয়নি। আমের সেখানে তাঁর গতি, লাইন ও লেংথ দিয়ে ভাল করতে পারবে বলেই আশা করা হচ্ছে।"
আমেরের পাশাপাশি আবার ওয়াহাব রিয়াজকেও অন্তর্ভূক্ত করা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। বিশ্বকাপের মূল ১৫ দল তো বটেই প্রাথমিক ২৩ জনের স্কোয়াডেও তিনি ছিলেন না। ফিটনেস নিয়ে সমস্যার জন্যই ব্রাত্য রাখা হয়েছিল তাঁকে। তবে ওয়াহাব রিয়াজকেও ইংলিশ কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখে নেওয়া হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছেন ইনজামাম উল হক।
কোহলি-আমেরের বাইশ গজের দ্বন্দ্ব বহু পুরনো। তারকা পেসারকে প্রথমে বাদ রাখার পরে দুই দেশের ক্রিকেট মহলেই হতাশা নেমে এসেছিল। তবে আমের ফেরায় ইন্দো-পাক ম্যাচে যে ফের একবার কোহলি-আমেরের দ্বৈরথ মুখ্য আলোচনার বিষয় হতে চলেছে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই।
পাকিস্তানের পরিবর্তিত স্কোয়াডঃ সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক), ফখর জামান, ইমাম-উল-হক, আসিফ আলি, বাবর আজম, হ্যারিস সোহেল, শোয়েব মালিক, মোহাম্মদ হাফিজ, শাদাব খান, ওয়াহাব রিয়াজ, ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ আমের, হাসান আলি, শাহীনশাহ আফ্রিদি, মহম্মদ হাসনাইন।