আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে মন্থর ব্যাটিংয়ে হতাশ হয়েছিলেন। সরাসরি ধোনি ও কেদার যাদবের সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন শচীন রমেশ তেন্ডুলকর। সেই জন্যই এবার ধোনি-ভক্তদের টার্গেট হতে হল শচীনকে। যা নিয়ে বিশ্বকাপের মধ্যেই ভারতীয় শিবিরে নতুন করে তিক্ততা দেখা দিল। জাতীয় স্তরের এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে শচীন জানিয়েছিলেন, "বেশ হতাশ আমি। ভারতীয় ব্যাটিং প্রদর্শন আরও ভাল হতে পারত। ধোনি-কেদারের মতো পার্টনারশিপ আমার ভাল লাগেনি। আমরা ৩৪ ওভার স্পিন বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যাটিং করলাম। এবং স্কোরবোর্ডে উঠল মাত্র ১১৯ রান। কেবলমাত্র এই এক জায়গাতেই আমাদের স্বচ্ছন্দ লাগেনি। কোনও সদর্থক ভঙ্গি ছিল না ব্যাটিংয়ের সময়ে।"
ধোনির মন্থর ব্যাটিংয়ে অবশ্য শুধু শচীন নয়, অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটারই বিরক্ত প্রকাশ করেছেন। ২৭ ওভারে ধোনি ব্য়াট করতে নেমেছিলেন। ৭৫ মিনিট ক্রিজে টিকে ধোনি ৫২ বলে কোনওমতে ২৮ রান করেছিলেন। এতটাই মন্থর ব্যাটিং করছিলেন যে ধোনির আউটে গ্যালারিতে স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়ে। শচীন এরপরেই রাখঢাক না করেই ধোনিকে বিঁধেছেন, "ধোনির মতো সিনিয়র ক্রিকেটারকে আরও দায়িত্ব নিয়ে খেলা উচিত। কারণ কেদারের ব্য়াটিং এই টুর্নামেন্টে মোটেই পরীক্ষিত নয়।"
;
ধোনির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খোলাতে মাস্টার ব্লাস্টারকে অবশ্য আক্রান্তও হতে হল ধোনি-ভক্তদের কাছ থেকে। অনেকেই লিখেছেন, ধোনি দেশের জন্য খেলছেন। শচীন স্বার্থপর ক্রিকেটের কিংবদন্তি। অনেকেই আবার শচীনকে মন্থর পিচের কথা স্মরণ করে দিয়ে লিখেছেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী ধোনি সঠিক ব্যাটিং করেছে।
সবমিলিয়ে নেট দুনিয়ায় কিংবদন্তি আক্রান্ত। মাহি বনাম শচীন দ্বৈরথ পরোক্ষে শুরু হয়ে গেল বিশ্বকাপের মাঝে।