একটা ওয়ান ডে না খেললেও বাংলাদেশের বিশ্বকাপের দলে জায়গা পেয়েছেন আবু জায়েদ। তিনি অপ্রত্যাশিত উপহার পেয়ে ঘোরে রয়েছেন। আর তাসকিনের কান্না মনে করিয়ে দিচ্ছে মাশরাফির বাদ পড়ার ঘটনাকে।
এখনও একটাও ওয়ান ডে খেলেননি। তাতেই মিলে গিয়েছে বিশ্বকাপের টিকিট। আবু জায়েদ এখনও স্বপ্নের ঘোরে। আবার জায়গা হয়নি তারকা পেসার তাসকিন আহমেদের। বাংলাদেশের বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণার পরে ২৪ ঘণ্টা অতিক্রান্ত। তবে নির্বাচনোত্তর পর্বে একগাদা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। যে কখনই ওয়ান ডে-তে খেলেনি, সেই কিনা বিশ্বকাপে খেলবেন জাতীয় দলেকর জার্সি গায়ে। ওয়ান ডে না খেললেও ৫টি টেস্ট ও ৩টি ওয়ান ডে খেলেছেন তিনি। কোন সূত্র ধরে তিনি স্কোয়াডে! বাংলাদেশি প্রচারমাধ্যমে লেখা হয়েছে, আসলে কোচ ও অধিনায়ক দু'জনেই চেয়েছেন তরুণ তুর্কিকে।
আরও পড়ুন ICC Cricket World Cup 2019: জোড়া চমকেই বিশ্বকাপের দল ঘোষণা বাংলাদেশের
বাংলাদেশের প্রচারমাধ্যমে মাশরাফি কিছুদিন আগেই জানিয়েছিলেন, "এখন আমাদের এই একটা পেসার যে আসলেই বল সুইং করাতে পারে।" ইংল্য়ান্ডের সুইং নির্ভর কণ্ডিশনে জায়েদ সফল হতে পারেন বলেই ধারণা বাংলাদেশি নির্বাচকদের। অন্যদিকে, বহুদিন জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন তাসকিন। বিপিএলে দুরন্ত বোলিং পারফরম্যান্স করার পরে তিনি জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন দেখছিলেন। তবে শেষ মুহূর্তে ফের চোট পান তারকা পেসার। বিশ্বকাপের মতো মেগা টুর্নামেন্টে অনিশ্চয়তা আর সংশয়কে সঙ্গী করবেন না বলেই শেষ সময়ে শিকে ছিঁড়েছে জায়েদের। এখনও ওয়ানডে-তে অভিষেক হয়নি যার।
তাসকিনের জাতীয় দলের জায়গা না পাওয়ার ঘটনা আবার মনে পড়িয়ে দিয়েছে ২০১১ বিশ্বকাপে মাশরাফির বাদ করাকে। সেই সময়ে সংবাদমাধ্যমের সামনেই কেঁদে ভাসিয়েছিলেন বাংলাদেশি তারকা। এবারেও সেই কাঁদতে কাঁদতে বাংলাদেশি প্রচারমাধ্যমের সামনে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তাসকিন।
এসব বিতর্ক পিছনে ফেলে আপাতত বিশ্বকাপেই অভিষেক ঘটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন আবু জায়েদ। তিনি প্রথম আলো-কে জানিয়েছেন, "সুইং করাতেই আমাকে নেওয়া। মাশরাফি ভাইও বলেছেন, বল সুইং করানোর চেষ্টা করিস, ভালো জায়গায় বোলিং করবি। আমি আশাবাদী, বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।"