কিছুদিন আগেই আইপিএলে খেলে গিয়েছেন। প্লে অফের বেশি অবশ্য দলকে টানতে পারেননি। তবে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচেই ট্রেন্ট বোল্ট বুঝিয়ে দিলেন, তিনি রীতিমতো বল হাতে শাসন করতে এসেছেন বিশ্বকাপে। বোল্ট, সাউদি, জিমি নিশাম এবং গ্র্যান্ডহোম- কিউয়ি পেস ব্যাটারির কাছে শুরুর ম্যাচেই চূর্ণ হতে হল টিম ইন্ডিয়াকে। কোহলিরা অল আউট মাত্র ১৭৯ রানে।
যা নিয়ে বিশ্বকাপের আগেই রীতিমতো আশঙ্কা তৈরি হয়ে গেল। এমনিতে বিজয় শঙ্কর বৃহস্পতিবার চোট পাওয়ায় নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে রাখা হয়নি প্রথম একাদশে। হাড় না ভাঙলেও আপাতত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁকে। তবে প্রথম ম্যাচের আগে বিজয় শঙ্কর সুস্থ হয়ে উঠবেন কিনা, তা নিয়ে রীতিমতো ধোঁয়াশা রয়েছে বোর্ডের তরফেই। বিজয় শঙ্করকে নিয়ে শঙ্কার মধ্যেই কেনসিংটন ওভাল দেখল ভারতীয় বিশ্বখ্যাত ব্যাটিং লাইন আপের কাঁপুনি।
আরও পড়ুন
কেনিংটন ওভালে টসে জিতে প্রথমে ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কোহলিরা। তবে দ্বিতীয় ওভারেই বোল্টের বলে লেগ বিফোর হয়ে ফিরে যান রোহিত। সেই শুরু। তারপরে খালি আয়ারাম ও গয়ারাম!
নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে ভারত। একসময় ৩৯ রান তুলতেই ৪ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে ধোনি-পাণ্ডিয়ার ৩৮ রানের ছোট্ট পার্টনারশিপে ম্য়াচে ফেরার চেষ্টা করেছিল ভারত। তবে সেই জুটিও ভেঙে যাওয়ার পরেই নিশ্চিত হয়ে যায় ভারতের ব্যাটিং ভরাডুবির। ১১৫/৮ উইকেট একসময় হারিয়ে বসেছিল ভারত। তবে সেখান থেকে কিছুটা পালটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন রবীন্দ্র জাদেজা (৫০ বলে ৫৪)। নবম উইকেটে জাদেজা ও কুলদীপ যাদবের (১৫) ৬২ রানের পার্টনারশিপ না থাকলে দেড়শো রানের আগেই খতম হয়ে যেত ভারত।
বোল্ট (৩৩/৪), জিমি নিশাম (২৬/৩) রা এদিন দুর্ধর্ষ। ইংল্যান্ডের সুইং নির্ভর পরিবেশে কতটা বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারেন কিউয়ি বোলাররা, তার-ই যেন ছোট্ট ট্রেলার দেখিয়ে রাখলেন তাঁরা।