বিশ্বকাপে বেনজির বিপর্যয়ের পরেই স্লোগান উঠে গিয়েছে 'শাস্ত্রী হঠাও'। বিশ্বকাপে ভারতের বিদায়ের পিছনে অনেকেই কোচ শাস্ত্রীর অপরিণামদর্শিতা দেখছেন। ঠিকঠাক মিডল অর্ডার সাজিয়ে উঠতে না পারা, ব্যাটিং অর্ডারের ভঙ্গুর দশা, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শামির মতো পেসারকে প্রথম একাদশের বাইরে রাখা- সবমিলিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকরা গিলোটিনে শাস্ত্রীকেই চাইছেন। তবে শাস্ত্রীকে বিপর্যয়ের পর পুরস্কৃত করল ভারতীয় বোর্ড। তাঁর সঙ্গে চুক্তি আরও বাড়ানো হচ্ছে।
সর্বভারতীয় প্রচারমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শাস্ত্রীর সঙ্গে বিসিসিআইয়ের বিশ্বকাপ পর্যন্তই চুক্তি ছিল। তবে বিশ্বকাপের পরে শাস্ত্রী সহ বাকি কোচিং স্টাফ বোলিং কোচ ভরত অরুণ, ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধরের মেয়াদ আরও ৪৫ দিন বাড়ানো হচ্ছে। আগেই সরে দাঁড়িয়েছেন দলের ফিজিও প্যাট্রিক ফারহাত এবং কন্ডিশনিং কোচ শঙ্কর বাসু। তবে বাকি কোচিং স্টাফের মেয়াদ বাড়ানোতেই পরিষ্কার কোচিং স্টাফ পরিবর্তনের আগেই ধীরে সুস্থে এগোতে চাইছেন টিম ইন্ডিয়া।
আরও পড়ুন শাস্ত্রী-কোহলির ঝগড়া এবার ঋষভকে নিয়ে! বিরাটের সংসারে চরম অশান্তি
তবে খুব সম্ভবত কোপ পড়তে চলেছে ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গারের উপরে। কোহলিদের ব্যাটিং বিপর্যয়ের অন্যতম ফ্যাক্টর ধরা হচ্ছে বাঙ্গারকেও। এমনিতে বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে ভারত বিশ্বের অন্যতম সেরা। ফিল্ডিং কোচ হিসেবে আর শ্রীধর দারুণ কাজ করেছেন। বোলিংয়ের বুমরাদের বদলে যাওয়ার পিছনে ভরত অরুণের হাত দেখছে বিসিসিআই। তবে বাঙ্গারের পারফরম্যান্সে একদমই প্রভাবিত নয় বোর্ড। এত সময় পেয়েও চার নম্বর পজিশনে নির্দিষ্ট কোনও ক্রিকেটারদের ফিট না করতে পারার ব্যর্থতা বাঙ্গারেরও। তাই খুব সম্ভবত চাকরি হারাতে চলেছেন তিনি।
শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার (বিসিসিআই)
সংবাদমাধ্যমে বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, বারংবার মিডল অর্ডারের পরিবর্তনে ধাক্কা খেয়েছে দলগঠন। এই রোগের কোনও প্রতিষেধকও বের করতে পারেননি তিনি। পাশাপাশি তিনি ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছেন বোর্ডকে। তিনিই প্রথমে জানিয়েছিলেন বিজয়শঙ্কর ফিট। পরে বিজয়শঙ্কর চোটের কারণেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যান। বাঙ্গারের পাশাপাশি চাকরি যেতে পারে দলের ম্যানেজার সুনীল সুব্রহ্মণ্যমেরও। একাধিক কারণে বোর্ড অসন্তুষ্ট তাঁর উপরে।