বিরাট কোহলি মানেই মাঠ ও মাঠের বাইরে একচ্ছত্র শাসন। ব্যাট হাতে রেকর্ড। আবার বাইশ গজের বাইরেও তিনি ব্র্যান্ড বিরাটে বলীয়ান! ভারতীয় ক্রিকেটে শেষ কথা বর্তমানে তিনি-ই। তাঁর উপস্থিতিতে গ্য়ালারিতে মেক্সিক্যান ওয়েভ। অধিনায়ক হওয়ার পরে কোহলি আপাতত বিশ্বকাপে নতুন চ্যালেঞ্জে অবতীর্ণ। ক্যাপ্টেন হিসেবে বিশ্বকাপ মুকুট ছুতে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিনি রান না পেলেও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ৮২ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছেন সমর্থকদের। যদিও তা ধাওয়ানের শতরানের কাছে কিছুটা ম্লান হয়ে গিয়েছে।
যাইহোক, কোহলি বুধবার নয়া মাইলস্টোন ছুঁলেন। ফোর্বসের একশো জন সর্বোচ্চ উপার্জনকারী অ্যাথলিটদের তালিকাতেও কোহলি। ব্র্যান্ড কোহলির এই সাফল্যের রহস্য কী? বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে কোহলির দৈনিক জীবন যাপনের কথা। কোহলি খাওয়া-ঘুমানো থেকে শুরু করে অনুশীলন পর্যন্ত সব কিছুই ঘড়ির কাঁটা ধরে নিয়ম মেনে করেন। যে কোনও মানুষের সাফল্যের অন্যতম কারণ, জীবনধারণের সুশৃঙ্খল নীতি। কোহলিও এর ব্যতিক্রম নন।
জানা যায়, খাবার-দাবার ও স্পেশ্যাল পানীয়ের উপরে বিশেষ জোর দেন তিনি। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, দামি প্রোটিনযুক্ত খাবার খান বিরাট। যা বিশ্বের অন্যতম সেরা। পাশাপাশি, নিজেকে ফিট রাখতে সেদ্ধ খাবার খান অধিকাংশ সময়ে। পছন্দের মটন রোল ও বাটার চিকেন খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন ক্রিকেটের জন্যেই। কার্যত ফিটনেসকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন কোহলি।
কিন্তু সবথেতে চমকপ্রদ তথ্য তাঁর পানীয়ের মধ্যে। নামীদামি ব্র্যান্ডের হেল্থ ড্রিংক, ফ্রুট জুস তো পান করেন-ই, সেই সঙ্গে যখন বিদেশে যান, তখন একটি বিশেষ ব্র্যান্ডের মিনারেল ওয়াটার ছাড়া অন্য কিছু মুখে তোলেন না কোহলি। প্রচারমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জল ফ্রান্সে তৈরি হয়, যার লিটার প্রতি দাম প্রায় ৬০০ টাকা।