রবিবারের পরে ম্য়াঞ্চেস্টার শুধু বিরাট কোহলির। মাঠের মধ্যে সুখের স্মৃতি জ্বালিয়ে কোহলিদের পাকিস্তান বধের ৭-০ ইতিহাস। ব্যাট হাতেও কোহলির দুর্ধর্ষ ইনিংস। বলা হচ্ছে, রোহিত শর্মা নয়, ম্যাচে সবথেকে বেশি প্রভাব বিস্তার করে গেলেন বিরাট কোহলি। মাঠের মধ্যের যুদ্ধ তো জিতলেনই। বাইশ গজের বাইরের যে সীমানা সেখানেও শান্তির পতাকা উড়িয়ে গেলেন তিনি।
রণংদেহী মেজাজ থাক বিপক্ষকে ওড়ানোর। সেই সঙ্গে থাকুক পারস্পরিক সম্মান, সৌহার্দ্য। এই মন্ত্রেই ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের সিংহাসনে বিরাট কোহলি। সেই শান্তির কোলাজের টুকরোই দেখা গেল ম্যাচের সময়ে। কোহলি মন জিতলেন আগ্রাসনে ও সৌজন্যে। দু-দিকেই।
আরও পড়ুন
ম্যাচের মাঝের ঘটনা। সেই সময় ক্রিজে ব্যাট করছিলেন স্বয়ং কোহলি ও রোহিত শর্মা। লোকেশ রাহুল আউট হওয়ার পরে ক্রিজে তখন কোহলি-রোহিতের পার্টনারশিপ ক্রমশ জাঁকিয়ে বসছে। সেই সময়েই সরফরাজ বল করার জন্য ডেকেছিলেন ওয়াহাব রিয়াজকে। নিজের ওভারে নির্দিষ্ট লাইন-লেংথে বল করে যাচ্ছিলেন ওয়াহাব। মারার জন্য কোহলি কার্যত কোনও স্পেসই পাচ্ছিলেন না। সেই সময়েই ওয়াহাবের একটি বল পুশ করে রান নিতে গিয়েছিলেন কোহলি। অন্যদিকে, ডেলিভারির পর ভারসাম্য হারিয়ে মাটিতে বসে পড়েন পাক পেসার।
নন স্ট্রাইকিং এন্ডে রান পূর্ণ করার সময়ে বসে থাকা ওয়াহাবকে পিঠ চাপড়ে দেন কোহলি স্বয়ং। ভাল বোলিংয়ের প্রশংসা সূচক হিসেবেই কোহলি ওয়াহাবের পিঠ চাপড়ে দিয়েছিলেন। পালটা ওয়াহাবও কোহলিকে হাসি ছুড়ে দেন। ব্যাট-বলের যুদ্ধের মাঝেই কোহলির এই কীর্তি মন ছুঁয়ে গিয়েছে অধিকাংশ পাকিস্তানি সমর্থকের। সম্প্রীতির বহু টুকরো টুকরো কোলাজ হাজির ছিল ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে। তবে কোহলির কীর্তিকে কুর্নিশ করছেন পাক সমর্থকেরাও।
Read the full story in ENGLISH