প্রথম ম্যাচেই পর্যুদস্থ হয়েছে পাকিস্তান। নাকানি চোবানি খেয়ে পাকিস্তানের হারে সোশ্যাল মিডিয়ায় এখনও চর্চা তুঙ্গে। পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা তো বটেই অন্য ক্রিকেট খেলিয়ে দেশের বিশেষজ্ঞরাও পাকিস্তানকে সমালোচনায় বিদ্ধ করছে। শোয়েব আখতার তো অধিনায়ক সরফরাজ খানকে 'পেটমোটা' বলে চূড়ান্ত আক্রমণ শানিয়েছেন। এর মধ্যেই খবর পাকিস্তানিদের হারানোর পিছনে আসলে এক পাকিস্তানি-রই হাত রয়েছে।
তাঁকেই বলা হচ্ছে ঘরশত্রু বিভীষণ! তিনি নাকি ম্যাচের আগে প্রতিটি পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতার কাটাছেঁড়া করে তুলে দেন ক্যারিবিয়ান বোলারদের কাছে। তারপর তো পুরোটাই ইতিহাস। ওশানে থমাস, কটরেল, রাসেলদের বোলিংয়ের কুলকিনারা করতে না পেরে মাত্র ১০৫ রানেই অলআউট পাকিস্তান।
কে ইনি? ইনি মুস্তাক আহমেদ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সহকারি কোচ তিনি। বোলিং ব্রিগেডের দায়িত্ব রয়েছে তাঁর কাছে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের লক্ষ্য করে রাসেল, কটরেল, থমাসদের নাগাড়ে শর্ট বলের প্রেসক্রিপশন দিয়েছিলেন তিনি-ই। তিনি বিশ্লেষণ করে দেখেছিলেন, শর্ট বলের মোকাবিলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুত নয় পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। আর তাঁর ব্লু প্রিন্ট ফলো করেই মহা-সাফল্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের।
ক্যারিবিয়ানদের বোলিং কোচ মুস্তাক আহমেদ (টুইটার)
ট্রেন্ট ব্রিজের পিচে ক্যারিবিয়ানরা যে শর্ট বলে হামলার প্রস্তুতি সারছেন, তা কী বুঝতে পারেনি পাকিস্তান! অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ জানিয়েছেন, ক্যারিবিয়ানদের রণকৌশল সম্পর্কে তাঁরা ভালই অবহিত ছিলেন। তবে ম্যাচে নিজেদের সঠিকভাবে প্রয়োগ না করতে পারাতেই বিপর্যয়। যদিও মুস্তাক আহমেদ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা শর্ট বলে। আর ক্যারিবিয়ান বোলারদের গড় উচ্চতা বেশি হওয়ায় শর্ট লেংথের বল কার্যকরী হয়েছে। তাঁর পরিকল্পনা তিনি নিজেই ফাঁস করেছেন প্রচারমাধ্যমে।
পাকিস্তানির প্রেসক্রিপশনেই ধ্বংস পাকিস্তান! এমনটা কিন্তু সচরাচর দেখা যায়নি। মুস্তাক আহমেদ ব্যতিক্রমী ধারার সংযোজন করলেন বিশ্ব ক্রিকেটে।