এতদিন সুযোগ পাচ্ছিলেন না। তবে প্রথম সুযোগেই বাজিমাত। ভুবনেশ্বর কুমারের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট না লাগলে চলতি বিশ্বকাপে বোলিং রান আপে মহম্মদ সামিকে দেখা যেত কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ ছিল বিস্তর। তবে হাল ছাড়েননি বঙ্গ পেসার। প্রথমবার সুযোগ পেয়েই দেখিয়ে দিয়েছেন, ইংল্যান্ডের পরিস্থিতিতে তিনি কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন। তা সত্ত্বেও অবিচারের শিকার সামি! দুর্ধর্ষ বোলিং করেও ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেলেন না তিনি। বদলে, জসপ্রীত বুমরাকে দেওয়া হয় ম্যান অফ দ্য ম্যাচের শিরোপা। এতেই ক্ষিপ্ত সোশ্যাল মিডিয়া।
ভারত প্রথমে ব্যাট করে ২২৪ রানের বেশি করতে পারেনি। আফগানিস্তান শেষ পর্যন্ত রান তাড়া করে গিয়েছে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য আফগানিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। আফগানদের হাতে তখনও ৩ উইকেট। সবথেকে বড় কথা, মহম্মদ নবি ক্রিজে তখনও রয়েছেন। হাফসেঞ্চুরির দোড়গোড়ায় দাঁড়িয়ে আফগান তারকা। মারমুখী নবি যে ভারতের হাত থেকে ম্যাচ বের করে নেবেন না, তা নিয়ে নিশ্চিত ছিল না অতিবড় ভারতীয় সমর্থকও।
আরও পড়ুন
ধোনির স্টাম্প আউটেই ‘প্রমাণ’ বিশ্বকাপ জিতবে ভারত, জেনে নিন কীভাবে
তবে সামি একাই আফগানিস্তানকে রুখে দেন। হ্যাটট্রিক করে। প্রথম বলে নবি বাউন্ডারি হাকালেও, ওভারের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বলে পরপর তিনি ফিরিয়ে দেন মহম্মদ নবি (৫২), আফতাব আলম এবং মুজিব উর রহমানকে। পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে তিনি ফয়সালা এনে দেন ওভারের তিন বলেই। পুরো পঞ্চাশ ওভার না খেলেই অলআউট আফগানিস্তান।
#INDvAFG Shami should have got Man of the Match title for Hat-trick and Early wickets.
Management is ignorantly blind on performance of Shami who took 4 wickets.
— Gautam Vashisht (@GautamVashisht4) June 23, 2019
Sir, I might be another citizen of India for you but for sure a very big fan of urs and game of cricket.
Sir, can you help me in understanding why shami was not given man of the match in yesterday's match ?
— Umang Agrawal (@UmangAg04511009) June 23, 2019
সবমিলিয়ে ৯.৫ ওভার বোলিং করে মহম্মদ সামির মাত্র ৪০ রান খরচ করে তুলে নেন ৪ উইকেট। তা-ও আবার ম্যাচের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। ১৯৮৭-র চেতন শর্মার পরে দ্বিতীয় ভারতীয় বোলার হিসেবে বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক! অন্যদিকে, জসপ্রীত বুমরা বোলিং ফিগার, ১০ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে ২ উইকেট। সামির এত কীর্তির এত প্রভাব ফেলা সত্ত্বেও ম্যাচের সেরার সম্মান বুমরা! এতেই অনেক ভারতীয় সমর্থক ক্ষিপ্ত হয়েছেন। তাঁরা সরাসরি এর যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। বলা হচ্ছে, উপেক্ষার শিকার সামি। সবমিলিয়ে প্রশ্নের মুখে আইসিসি-র ম্যাচ সেরা পুরস্কারের গ্রহণযোগ্যতা।