টার্গেট ছিল সামান্য। মাত্র ১৩৬। সেই টার্গেট কোনও উইকেট না হারিয়ে নিউ জিল্যান্ড তুলে দিল। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১০ উইকেটে সহজ জয় পেল কিউয়িরা। হুবুহু যেন গতকালের ম্যাচের অ্যাকশন রিপ্লে। শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের সামনে ধসে পড়েছিল পাকিস্তান ব্যাটিং লাইন আপ। আর শনিবার দেখল নিউ জিল্যান্ডের পেসারদের সামনে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং ভেঙে পড়া। তফাত একটাই পাকিস্তান টিকেছিল ২০ ওভারের কিছু বেশি। শ্রীলঙ্কানদের পারফরম্যান্স সেই তুলনায় একটু ‘উন্নত’। ২৯.২ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে স্কোরবোর্ডে তাঁরা তুলল ১৩৬। সেই রান তাড়া করেই অনায়াস জয় ব্ল্যাক-ক্যাপসদের।
মার্টিন গুপ্তিল ও কলিন মুনরো ওপেনিংয়ে নেমে বিনা বাধায় সেই স্কোর তুলে দেন। গুপ্তিল ৫১ বলে ৭৩ এবং মুনরো ৪৭ বলে ৫৮ রানের নিখুঁত ইনিংসে শ্রীলঙ্কাকে ম্যাচে ফেরার কোনও সুযোগই দেননি।
টসে জিতে লঙ্কান ক্রিকেটারদের প্রথমে ফিল্ডিং করতে পাঠিয়েছিল কিউয়িরা। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই থিরিমানের ফিরে যাওয়া দিয়ে সূচনা। তারপরে দ্বিতীয় উইকেটে কুশল পেরেরা (২৯) ও করুণারত্নে (৮৪ বলে ৫২) ৪৫ রান যোগ করেন। নবম ওভারে ম্যাট হেনরির বলে ফিরে যাওয়ার পরে আর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি কোনও লঙ্কান ব্যাটসম্যানই। অধিনায়ক করুণারত্নে একপ্রান্তে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকলেও, অন্যপ্রান্তে উইকেট পতন রোখা যায়নি
ম্যাট হেনরি ও লকি ফার্গুসন দু-জনেই এদিন তিনটে করে উইকেট নেন। বাকি উইকেট নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন ট্রেন্ট বোল্ট. স্যান্টনার, গ্র্যান্ডহোম এবং জিমি নিশাম। টপ অর্ডারকে ভেঙে শুরুতেই শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানদের কাঁপুনি উপহার দেওয়ার জন্য ম্যাচের সেরা ম্যাট হেনরি।
নিউজিল্যান্ডকে এবার কাপ জয়ের অন্যতম ফেভারিট ধরা হচ্ছে কেন, তা প্রথম ম্যাচেই বুঝিয়ে দিলেন কেন উইলিয়ামসনরা। ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে নিউজিল্যান্ড যে বাকি দলগুলিকে রীতিমতো বেগ দেবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।