শ্রীলঙ্কা: ২৪১/১০
আফগানিস্তান: ২৪২/৩
থামানোই যাচ্ছে না আফগানিস্তানকে। ভারতের মাটিতে আফগানদের স্বপ্নের দৌড় অব্যাহত। ইংল্যান্ড, পাকিস্তানের পর এবার রশিদ খানদের হাতে বধ হল শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানের মতই রান চেজ করে চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় জয় ছিনিয়ে নিল আফগানিস্তান।
পুনেতে শ্রীলঙ্কা প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমে সুশৃঙ্খল আফগানিস্তান বোলিংয়ের সামনে ২৪১ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল। পুরো পঞ্চাশ ওভার-ও ব্যাট করতে পারেনি লঙ্কানরা। আফগানিস্তান সেই রান তাড়া করল হাতে ৭ উইকেট এবং ২৮ বল নিয়ে।
শ্রীলঙ্কার সামনে লক্ষ্য ছিল ২৪১ রান ডিফেন্ড করার। আফগানিস্তান ইনিংসে শুরুতে প্ৰথম ওভারেই লঙ্কানদের ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছিলেন মধুশঙ্কা। তবে তারপর থেকেই আফগানিস্তান ম্যাচে জাঁকিয়ে বসতে থাকে। পিচের কন্ডিশন অনুযায়ী মোটেই বল করতে পারেননি শ্রীলঙ্কা। আফগান ব্যাটাররা পার্টনারশিপ তৈরির দিকে নজর দিয়েছিল। দ্বিতীয় উইকেটে ইব্রাহিম জাদরানকে সঙ্গে নিয়ে স্কোরবোর্ডে ৭৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে যান রহমত শাহ। এই জুটিতে ভাঙন ধরান সেই মধুশঙ্কাই।
পাকিস্তান ম্যাচের হিরো ইব্রাহিম জাদরানকে (৩৯) ফেরান তিনি। সেখান থেকে ক্যাপ্টেন হাসমাতুল্লাহ শাহিদিকে সঙ্গে নিয়ে ফের একবার ৫৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন রহমত শাহ। কাসুন রাজিথা রহমত শাহকে (৬২) ফেরালেও ততক্ষণে আফগান ইনিংসের মোমেন্টাম পাওয়া হয়ে গিয়েছে। তারপর কোনও লঙ্কান বোলারই আর থামাতে পারেনি আফগানিস্তানকে। ক্যাপ্টেন হাসমাতুল্লাহ শাহিদি (৫৮ অপরাজিত) এবং ওমরজাই (৭৩ অপরাজিত) ১১২ রানের পার্টনারশিপে দলকে জিতিয়ে একবারে মাঠ ছাড়েন।
আফগানদের ইনিংসে যেখানে তিন-তিনটে হাফসেঞ্চুরি, সেখানে শ্রীলঙ্কার হয়ে কোনও ব্যাটারই এদিন ফিফটির মুখ দেখেননি। পাক ম্যাচে চার উইকেট শিকার করা নূর আহমেদকে বাইরে রেখে ফেরানো হয় ফজলহক ফারুখিকে। সেই ফারুখিই এদিন চার-চারটে উইকেট পেলেন। ম্যাচের সেরা তিনিই। মুজিব-উর রহমান নিলেন জোড়া উইকেট।
১০০তম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচে নেমেছিলেন রশিদ খান। তিনি ১ উইকেট পেলেন। মিডল ওভারে মুজিবের সঙ্গে শ্রীলঙ্কান ব্যাটিংয়ের নাভিশ্বাস তুলে দিলেন তিনি। সবমিলিয়ে ব্যাটে-বলে একদম নিখুঁত পারফরম্যান্স মেলে ধরলেন আফগান তারকারা।
আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে কোনও পার্টনারশিপই সেভাবে বিল্ড করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ওপেনার পাথুম নিশঙ্কা ৪৬ করেন। কুশল মেন্ডিস (৩৯), সমরাবিক্রমা (৩৬), চরিত আশালঙ্কা (২২), এঞ্জেলো ম্যাথিউস (২৩) সম্মিলিত অবদানে কোনওরকমে ২৪১ পর্যন্ত পৌঁছয় শ্রীলঙ্কা।