টানা ছয় ম্যাচ জিতে ফেলেছে ভারত। তবে অঙ্কের হিসাবে এখনও ভারতের সেমিফাইনাল ভাগ্য নিশ্চিত নয়। গ্রুপ পর্বে প্রতি দল প্রত্যেক দলের সঙ্গে মুখোমুখি হবে। এই ফরম্যাটের জন্যই এখনও ভারতের সেমিফাইনাল ভাগ্য অনিশ্চিত। খাতায় কলমে এখন প্রত্যেক দলের কাছেই শেষ চারে পৌঁছনোর সুযোগ রয়েছে। এমনকি লিগ টেবিলে সকলের নীচে থাকা ইংল্যান্ড-ও সেমিতে পৌঁছতে পারে অঙ্কের হিসাবে।
বিজনেজ এন্ডে পৌঁছে গিয়েছে ওয়ার্ল্ড কাপের ধুন্ধুমার যুদ্ধ। সেমিফাইনালের জন্য কোন দল আপাতত কেমন অবস্থায় দেখে নেওয়া যাক-
ম্যাজিক নম্বর কী?
সেমিফাইনালের জন্য ১৪ পয়েন্ট হচ্ছে ম্যাজিক নম্বর। এই নম্বরে পৌঁছলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত। এমনকি ১২ পয়েন্ট নিয়েও সেমিতে পৌঁছনো সম্ভব। তবে সেক্ষেত্রে কিছুটা ভাগ্যের সহায়তা থাকতে হবে। সেমিফাইনালে পৌঁছনোর জন্য আপাতত ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ফেভারিট। নিজেদের ভাগ্য নিজেদেরই হাতে।
ভারত: (৬ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট)
ভারতের বাকি তিন ম্যাচের একটিতে জিতলেই সেমিফাইনাল কনফার্ম হয়ে যাবে। কারণ শীর্ষ চার দলের বাইরে আর কোনও দল ১৪ পয়েন্টে পৌঁছতে পারবে না। এমনকি শেষ তিন ম্যাচ টানা হারলেও ভারত সেমিতে। তবে সেক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে আফগানিস্তান কোনওভাবে ১২ পয়েন্টে ফিনিশ করলে যেন নেট রানরেটে ভারতকে টপকাতে না পারে।
দক্ষিণ আফ্রিকা (৬ ম্যাচ ১০ পয়েন্ট)
দক্ষিণ আফ্রিকাকে শেষ তিন ম্যাচে খেলতে হবে ভারত, নিউজিল্যান্ড এবং আফগানিস্তানের বিপক্ষে। এখনও দুটো জয়ে কনফার্ম হতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকার সেমিফাইনাল ভাগ্য। এমনকি আর মাত্র একটা জয়েও শেষ চারে উঠে যেতে পারে প্রোটিয়াজরা। তবে লিগ টেবিলের পঞ্চম থেকে অষ্টম স্থানে থাকা দলদের বাকি সমস্ত ম্যাচে হারতে হবে। এমনকি শেষ তিন ম্যাচ হারলে দক্ষিণ আফ্রিকা সম্ভবত শেষ চারে পৌঁছতেও পারবে না।
নিউজিল্যান্ড: (৬ ম্যাচ, ৮ পয়েন্ট)
টানা দুটো হারে নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনালের দৌড় কিছুটা বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ তিন ম্যাচের দুটোতে জিতলে কিউইরা সেমিফাইনালে পৌঁছে যাবে। তবে দুটো ম্যাচ হারলে কিউইদের ধাক্কা দিতে হাজির হয়ে যাবে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একটা ম্যাচে জয়ই ফের সেমির দৌড়ে টেনে আনবে কিউইদের।
অস্ট্রেলিয়া (৬ ম্যাচ ৮ পয়েন্ট)
নিউজিল্যান্ডের মতই অস্ট্রেলিয়াকে সেমিতে পৌঁছনোর জন্য আর দুটো ম্যাচ জিততে হবে। আর শীর্ষ চার দলের মধ্য অস্ট্রেলিয়ার শেষ তিন ম্যাচের প্রতিপক্ষও তুলনায় সহজ- ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের এখনও সেমিতে পৌঁছনোর সুযোগ রয়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়া চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারালেই খতম হবে ইংরেজদের বিশ্বকাপ অভিযান। অস্ট্রেলিয়া যদি শেষ তিন ম্যাচের মাত্র একটিতে জেতে, তাহলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে সেমিতে পৌঁছনো চাপের। তখন নেট রানরেট বিবেচ্য হবে।
অন্য দলের জন্য কী সমীকরণ?
আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান এমনকি নেদারল্যান্ডসেরও সুযোগ রয়েছে শেষ চারে পৌঁছনোর। আফগানিস্তান যদি নিজেদের শেষ তিন ম্যাচ জিতে ১২ পয়েন্টে পৌঁছে যায়, তাহলে সেমিতে নিশ্চিতভাবেই পৌঁছে যাবে রশিদ খানরা। এমনকি শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান এবং নেদারল্যান্ডসও যদি নিজেদের শেষ সবকটি ম্যাচ জিতে যায়, তাহলে ১০ পয়েন্টে ফিনিশ করে সেমিফাইনালের আশা অনেকটাই জাগিয়ে ফেলবে।
সবথেকে কঠিনতম সমীকরণ হতে চলেছে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের যদি শেষ ল্যাপের মাত্র একটি ম্যাচ জিততে সক্ষম হয়, পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা বাকি সমস্ত ম্যাচ জিতে যায় এবং আফগানিস্তান বাকি তিন ম্যাচের মধ্যে দুটো জয় পায় এবং দক্ষিণ আফ্রিকা শেষের সবকটি ম্যাচ হারে। তখন ছয়-ছয়টা দল ১০ পয়েন্টে ফিনিশ করবে। নির্ণায়ক ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে তখন নেট রানরেট।