মুখোমুখি যুদ্ধে অবতীর্ণ ভারত অস্ট্রেলিয়া। আর মার্কি ইভেন্টের ফাইনালের আগে যথারীতি প্রশ্ন উঠে গিয়েছে পিচের চরিত্র নিয়ে। কোন পিচে রোহিত-কামিন্সরা খেলবেন, তা আপাতত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। প্যাট কামিন্সের দিকে যথারীতি প্ৰশ্ন উঠে গেল, পিচ নিয়ে কী ভাবছেন তাঁরা।
অজি অধিনায়কের সটান যুক্তি, "আমাদের যে পিচেই খেলানো হোক না কেন, আমরা তৈরি।" ভারত কি পিচ থেকে বাড়তি সুবিধা পাবে? প্যাট কামিন্স বলে দেন, "দুই দলের জন্যই একই পিচ থাকবে। নিজেদের দেশে পরিচিত পিচে যেখানে কেরিয়ারের সমস্ত সময় খেলে অভ্যস্ত ওঁরা, সেখানে সুবিধা বেশি ভারতের। তা নিয়ে সন্দেহই নেই। তবে আমরাও এখানে পর্যাপ্ত ক্রিকেট খেলেছি।"
তাঁর আরও সংযোজন, "ভারতের সমস্ত ভেন্যু যেমন ওয়াংখেড়ে থেকে একমাত্র এই ভেন্যুতেই টস অতটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর নয়। তাই যে পিচেই খেলানো হোক না কেন, আমরা প্রস্তুত। আগে পিচ দেখি, কীরকম, সেই অনুযায়ী আমরা পরিকল্পনা তৈরি করব।"
এর আগে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এ বলা হয়েছিল, পিচ স্লো হবে। যেখানে বল ল্যান্ড করে ব্যাটে আসতে সময় লাগবে। ভারত পাক ম্যাচে যে পিচে খেলা হয়েছিল, সেই পিচেই হবে ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনাল। পিচ নিয়ে কামিন্স বলেছেন, "আমি পিচের চরিত্র খুব ভালো বুঝতে পারি এমনটা নয়। তবে পিচ বেশ শক্ত মনে হয়েছে। স্রেফ জল দেওয়া হয়েছে। আরও ২৪ ঘন্টা অপেক্ষা করার পর বোঝা যাবে কেমন পিচ। তবে মনে হচ্ছে বেশ ভালো উইকেট।"
অজি দলের পেস আক্রমণ দুনিয়ার অন্যতম সেরা। জস হ্যাজেলউড, মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্সদের নিয়ে গড়া আক্রমণভাগ সেমিফাইনালেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাটি ধরিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স যদি বিচার্য হয়, তাহলে ভারতের হাতে রয়েছে এই মুহূর্তে দুনিয়ার সেরা পেস বোলিং ইউনিট। শামি-সিরাজ-বুমরা মিলে প্রতিপক্ষকে ম্যাচের পর ম্যাচ গুঁড়িয়ে দিচ্ছেন।
ওয়াংখেড়েতে ভারত সেমিফাইনাল খেলার পর থেকেই পিচ যাবতীয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে দাঁড়িয়েছে। বিসিসিআইয়ের বিরুদ্ধে পিচ বদলের অভিযোগ উঠেছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসেই আগে জানিয়ে দেওয়া হয়, কীভাবে সেমিফাইনাল ম্যাচের আগে টিম ইন্ডিয়ার তরফ থেকে ওয়াংখেড়ের কিউরেটরদের পিচের ঘাস উড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। যাতে পিচ আরও স্লো হয়ে পড়ে। ভারত আদতে হোম কন্ডিশনের পুরোপুরি ফায়দা নিতে চাইছে। তবে এই পিচ বদলের বিতর্ককে বাদ দিয়ে ভারতীয় দল এই মুহূর্তে নিজেদের অসামান্য ফর্ম দেখিয়ে বিশ্বকে মুগ্ধ করেছে।