স্টেডিয়ামে উপস্থিত প্রায় দেড় লাখি দর্শকদের শান্ত করে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছে। চমকের পর চমক ঘটিয়ে। স্টেডিয়ামে নীল ঢেউ। টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে গ্যালারি ভরিয়েছিলেন দর্শকরা। তবে সেই নীল সমুদ্রকে গর্জন করতে দিলেন না অস্ট্রেলিয়ানরা। ট্র্যাভিস হেডের সেঞ্চুরি এবং মার্নাস লাবুশেনের হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে অস্ট্রেলিয়া ভারতের ২৪১ রানের টার্গেট অবলীলায় তুলে ফেলেছিল হাতে ৭ উইকেট নিয়ে। ষষ্ঠবারের মত বিশ্বকাপ জেতার পর আর থামানো যায়নি অজিদের।
টসে জিতে ক্যাপ্টেন প্যাট কামিন্সের ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত একদম ঠিক প্রমাণিত হয়। স্লো থমকে যাওয়া পিচই ভারতের বধ্যভূমি হয়ে দাঁড়ায়। ক্যাপ্টেন প্যাট কামিন্স বল হাতে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেন। নিজের ১০ ওভারের কোটায় মাত্র ৩৪ রান খরচ করে তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট।
বিশ্বজয়ী হতেই ক্যাঙারুদের সেলিব্রেশনের ফোয়ারা উঠেছে ড্রেসিংরুমে। জয়ের পরেই ক্যাপ্টেন কামিন্স সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করেন। যেখান থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। একগুচ্ছ ছবির মধ্যে একটিতে দেখা যাচ্ছে মিচেল মার্শ বিয়ারের বোতল হাতে নিয়ে সোফায় বসে রয়েছেন। পা তোলা রয়েছে সদ্য জেতা বিশ্বকাপ ট্রফির ওপর। ট্রফি ছিল মেঝেতে।
তবে এই অসম্মান কি ট্রফির প্রাপ্য? এই নিয়েই সমালোচনার ঝড় উঠে গিয়েছে। বিশ্বকাপ ট্রফি জয় যে কোনও ক্রিকেটারের কাছেই স্বপ্ন পূরণের মত। পবিত্র ধরা হয় বহু কাঙ্খিত এই ট্রফিকে। অনেক বরেণ্য ক্রিকেটারও এই ট্রফি জয়ের স্বাদ পাননি। ভারতীয় সংস্কৃতিতে পা কে অপবিত্র ধরা হয়। ভারতে জেতা বিশ্বকাপ ট্রফিতে কীভাবে পা দিতে পারলেন তিনি, তা নিয়েই ঝড় উঠে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
নেটিজেনরা এই ট্রফির আবেগি মূল্য সম্পর্কে অবহিত করেছেন মার্শকে। অনেকেই আবার ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়ে একধাপ এগিয়ে আইসিসি এবং বিসিসিআইকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন।
চলতি মাসের শুরুর দিকেই মার্শ বিশ্বকাপ চলাকালীন অস্ট্রেলিয়ায় উড়ে গিয়েছিলেন ব্যক্তিগত কারণে। সেই সময় সতীর্থ মার্কাস স্টোইনিসকে তিনি টেক্সট-এ লেখেন, "কয়েকদিনের জন্য বাড়ি যাচ্ছে। এসে একসঙ্গে বিশ্বকাপ জিতব।" ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ব্যাট হাতে অবশ্য জ্বলে উঠতে পারেননি। ১৫ বলে ১৫ করে জসপ্রীত বুমরার বলে কেএল রাহুলের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন।