শহরে এখন উৎসবের মরশুম। কলকাতায় বাংলাদেশ ম্যাচে খেলতে যখন শেষবার পাকিস্তান হাজির হয়েছিল, তখন দুর্গাপুজোর হ্যাংওভার চলছিল। এখন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তান যখন শেষ ম্যাচ খেলতে নামছেন তখন কলকাতায় দিওয়ালি, কালিপুজোর আবহ। পাকিস্তান দলে অবশ্য উৎসবের কোনও মুডই নেই।
সেমিফাইনালের আশা খাতায় কলমে টিকে রইলেও পাকিস্তান নিজেও জানে, ২৮৭ রানের বিশাল ব্যবধানে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিতে ওঠা কার্যত দিবা-স্বপ্নের সামিল। আর পাকিস্তান যখন করাচির ফ্লাইটে ওঠার বন্দোবস্ত পাকা করে ফেলেছে, সেই সময়েই পাক দলের ক্যাপ্টেন বাবর আজমকে দেখা গেল সাউথ সিটিতে শপিং করতে। জারা সহ একাধিক ফ্যাশন আউটলেটে চুটিয়ে শপিং করলেন বাবর আজম এবং দলে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইমাম উল হক।
এর আগে বাংলাদেশ ম্যাচের প্রাক্কালে পাকিস্তান পার্ক সার্কাসের জাম জাম থেকে বিরিয়ানি, ফিরনি, চিকেন চাপ অর্ডার করেছিল। এমনকি ক্যাপ্টেন বাবর নিজের বিয়ের জন্য বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার 'সব্যসাচী'-র শেরওয়ানি কেনেন ৭ লক্ষ টাকা খরচ করে। বিশ্বকাপ শেষ হলেই বাবর আজম বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন। তাই বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে আসার সুযোগ পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করছেন তিনি। এবার সাউথ সিটি মলে গিয়ে একাধিক দামি শাড়ি কেনেন তিনি। 'ওমেন্স জোন' তো বটেই 'সোচ'-এও ঢুঁ মারেন বাবর-ইমাম। নিজের বাগদত্তার জন্যই সম্ভবত দামি শাড়ি কিনেছেন তিনি। এমনকি সানগ্লাস কিনতে সানগ্লাস হাটে-ও যান পাক তারকারা। সাউথ সিটি মল কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে, পাক তারকারা যাতে নিরূপদ্রবে শপিং করতে পারেন, সেই জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
ইংল্যান্ড ম্যাচ কার্যত নিয়ম রক্ষার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই ম্যাচের আগে ভ্রূক্ষেপ বিহীন অবস্থায় বাবরকে দেখে পাক ক্রিকেট মহলে ক্ষোভ তুঙ্গে। পাক ক্যাপ্টেন অবশ্য এতে পাত্তা দিচ্ছেন না। তিনি সাফ বলে দিয়েছেন, "যেভাবে আমার পারফর্ম করা উচিত ছিল, তা করতে পারিনি। তাই সকলে বলাবলি করছে আমি হয়ত চাপের মধ্যে রয়েছি। আসলে আমার মধ্যে কোনও চাপ-ই নেই। গত আড়াই বছর ধরে এভাবেই ক্রিকেট খেলে আসছি। দলের পারফর্ম করা ব্যক্তিও আমি। আর ক্যাপ্টেন যে সে-ও আমি। একই প্রসেসে খেলেছি। হ্যাঁ, আমার ওপর যে প্রত্যাশা ছিল, সেই অনুযায়ী, পারফর্ম করতে পারিনি, এটা সত্যি।"
ইংল্যান্ড ম্যাচ কার্যত নিয়ম রক্ষার। লঙ্কানদের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের জয়েই কার্যত ঠিক হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের সেমি-ফাইনাল ভাগ্য। তবে এখনও আশা ছাড়তে রাজি নন পাক ক্যাপ্টেন। বলে দিয়েছেন, "এখনও আমাদের এক ম্যাচ বাকি রয়েছে। কেউই জানে না, কী হতে চলেছে! সবসময়েই আশা রাখা উচিত। জীবনের যে কোনও মুহূর্তে যে কাজ-ই আমরা করি না কেন, সদর্থক আশা নিয়ে চলতে হয়। আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে তা বিশ্বাস করি।"