বিশ্বকাপে দুঃস্বপ্নের অভিযান চলছে বাংলাদেশের। আর ব্যর্থতার সেই মঞ্চেই নিজেদের পরবর্তী টার্গেট ঠিক করে ফেলেছিলেন বাংলাদেশি ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান। ২০২৫-এ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোয়ালিফাই করার আপাতত বাংলাদেশের পাখির চোখ।
নেদারল্যান্ডসের কাছে অপ্রত্যাশিতভাবে হেরে সাকিব সাংবাদিক সম্মেলনে বলে গিয়েছিলেন, "সেমিফাইনাল নয়। সেমিফাইনাল নিয়ে আর কোনও সম্ভবনাই নেই। তবে বিশ্বকাপের সেরা আট দলের মধ্যে থাকতে হবে। যাতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সুযোগ থাকে।" জানা যাচ্ছে, এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় জানাতে পারেন সাকিব আল হাসান। সেই জন্যই এই ইভেন্টে কোয়ালিফাই করতে মরিয়া তিনি।
আর ভারতের কাছে ইংল্যান্ডের হারের পরেই আপাতত বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সরাসরি কোয়ালিফাই করার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ২০২৫-এর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আয়োজক পাকিস্তানের সঙ্গেই বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের সেরা সাত দল খেলবে। অর্থাৎ ১০ দলের লিগে শেষ দুই স্থানাধিকারী দল জায়গা পাবে না দেড় বছর পর আইসিসির মেগা ইভেন্টে। এই হিসাবে আইসিসির পূর্ণ সদস্যের দেশ হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবোয়ের মত দল তো কোয়ালিফাই করার সুযোগও পাচ্ছে না। বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন না করার অভিশাপ হিসাবে।
রবিবারে ভারতের কাছে ইংল্যান্ড হারায় আপাতত লিগ টেবিলের দশম স্থানে রয়েছে। নয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। নেদারল্যান্ডস এবং আফগানিস্তান রয়েছে যথাক্রমে সাত এবং আট নম্বর স্থানে। বাংলাদেশ এবং ইংল্যান্ড দুই দলই ছয় ম্যাচ খেলার পর মাত্র একটি জয় পেয়েছে। তবে নেট রান রেটে এগিয়ে বাংলাদেশ।
বর্তমান লিগ টেবিল অনুযায়ী, বাংলাদেশ এবং ইংল্যান্ড দুই দলেরই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ভবিষ্যৎ সঙ্কটে। তবে এখনও তিন ম্যাচ বাকি রয়েছে দুই দলের। বাংলাদেশকে যেমন খেলতে হবে শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে। অন্যদিকে, ইংল্যান্ড শেষ তিন ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে। এই শেষ তিনটে ম্যাচ জিতে প্ৰথম আটের মধ্যে থাকা নিশ্চিত করতে চাইবে ইংল্যান্ড এবং বাংলাদেশ।
নাহলে, নেদারল্যান্ডস, আফগানিস্তান হয়ত বাজিমাত করবে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড বড়সড় অঘটনের সাক্ষী থেকে ভারত ছাড়বে। কী হবে, সেদিকে আপাতত তাকিয়ে ক্রিকেট বিশ্ব।