শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোয়ালিফাই করার রাস্তা খোলা রেখেছেন। ম্যাচের সেরাও হয়েছেন। তবে এসব দূরে সরিয়ে সাকিব আল হাসান তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়ে গিয়েছেন ২৪ ঘন্টা আগে। শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার এঞ্জেলো ম্যাথিউসকে টাইম আউট করে ক্রিকেট স্পিরিটের পরিপন্থী কাজ করেছেন। অখেলোয়াড়চিত আচরণে গোটা ক্রিকেট বিশ্বে ধিকৃত হয়েছেন। সেই বিতর্কের রেশ এখনও দগদগে।
তবে বিতর্কের সেই আবহের মধ্যেই জানা গেল, সাকিব আল হাসানের চলতি বিশ্বকাপ শেষ। আর খেলতে পারবেন না তিনি। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ব্যাট করার সময় বাঁ হাতের আঙুলে চোট পেয়েছিলেন। বাংলাদেশ বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচ খেলবে পুনেতে, ১১ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। আর সেই ম্যাচে থাকবেন না ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান।
আইসিসিকে বাংলাদেশ দলের ফিজিও বেইজেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, "নিজের ইনিংসের একদম শুরুর দিকে সাকিবের বাঁ হাতের আঙুলে চোট পান। ব্যাথা নিরোধককারী ট্যাবলেট এবং টেপ লাগিয়ে ব্যাটিং চালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ম্যাচের শেষে দিল্লিতেই এক্স রে হয় সাকিবের। সেই রিপোর্টে সাকিবের আঙুলের জয়েন্টে চিড় ধরা পড়েছে। পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠতে তিন-চার সপ্তাহ লাগবে। আজকেই সাকিব বাংলাদেশ রওনা হয়ে যাচ্ছেন। দেশে ফিরে রিহ্যাব সারবেন তিনি।"
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সাকিব আল হাসান ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন। ৮২ রান করার পাশাপাশি ২ উইকেটও শিকার করেন তিনি। তবে তাঁর অলরাউন্ড পারফরম্যান্স ফিকে করে দিয়েছে এঞ্জেলো ম্যাথিউস বিতর্ক। হেলমেটের কারণে ব্যাটিং করতে দেরি হয়েছিল লঙ্কান তারকার। সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে সাকিব টাইম আউট করে দেন ম্যাথিউজকে।
পরে আম্পায়ার, এমনকি ম্যাথিউস বারবার নিজের আউটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আবেদন করলেও তাতে কর্ণপাত করেননি বিতর্কিত তারকা। গোটা ক্রিকেট বিশ্বে নিমেষেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। মার্ক ওয়াহ, গৌতম গম্ভীর, ডেল স্টেইন, ওয়াকার ইউনিস এমনকি উসমান খোয়াজারা সাকিবকে তুলোধোনা করেছেন ক্রিকেটের স্পিরিট বিরোধী কাজ করার জন্য। তাতেও অবশ্য হেলদোল ছিল না সাকিবের। বরং উদ্ধত ভাবে সাংবাদিক সম্মেলনে বুঝিয়ে দিয়েছেন, যা করেছেন ঠিক করেছেন।
ম্যাচে ব্যক্তিগত স্তরে ম্যাথিউস প্রতিশোধ নিয়ে যান। বাংলাদেশ রান চেজ করার সময় সাকিবকে আউট করেন ম্যাথিউস। আউট করেই আগ্রাসীভাবে তিনি সেন্ড অফ দেন সাকিবকে। তবে নাজমুল শান্ত-র সঙ্গে সাকিব ততক্ষণে ১৬৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে জয়ের রাস্তায় পৌঁছে দিয়েছিলেন।