ইংল্যান্ড: ৩৬৪/৯
বাংলাদেশ: ২২৬/১০
প্রথম ম্যাচে কিউইদের কাছে হেরে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ম্যাচেই জয়ে ফিরল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। বাংলাদেশকে ১৩৭ রানে ছেলেখেলা করে হারাল ইংরেজ বাহিনী। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড ডেভিড মালানের সেঞ্চুরি এবং জো রুটের দুরন্ত হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৩৬৪ রানের পাহাড় তুলেছিল। জবাবে বাংলাদেশ পুরো ৫০ ওভার-ও ব্যাটিং করতে পারেনি। ওপেনার লিটন দাস এবং মুশফিকুর রহিম লড়াই চালিয়ে জোড়া হাফসেঞ্চুরি হাঁকালেও দলের বিশাল জয় আটকানোর জন্য তা মোটেই উপযুক্ত ছিল না।
বিশাল রান চেজ করতে নেমে বাংলাদেশ চাপ বুঝতে পারল ধর্মশালায়। দ্বিতীয় ওভারেই রিস টপলের পেসে ঘেঁটে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান, শান্ত-কে তুলে নিয়ে যে ধাক্কা দিয়েছিলেন দীর্ঘদেহী ইংরেজ সিমার, সেখান থেকে আর বেরোতে পারেনি বাংলাদেশ। প্ৰথম পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান আউট হয়ে যাওয়ায় ম্যাচ জয় কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। ৪৯/৪ হয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের হয়ে বুক চিতিয়ে একাই লড়াই চালিয়ে গেলেন এতদিন তীব্র সমালোচিত লিটন দাস। ২১ তম ওভারে ওকসের বলে আউট হয়ে যাওয়ার আগে ৬৬ বলে ৭৬ রানের দারুণ ইনিংস উপহার দিয়ে যান বাংলাদেশি তারকা উইকেটকিপার-ব্যাটার। তবে অন্য প্রান্ত থেকে একদমই সাহায্য পাননি তিনি।
লিটন আউট হয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ ১২১/৫ হয়ে যায়। শেষদিকে টেলএন্ডারদের সঙ্গে নিয়ে মুশফিকুর রহিম কোনওরকমে ৫১ করলেও কখনই মনে হয়নি ম্যাচে বাংলাদেশের আর কোনও সম্ভবনা রয়েছে। ইনিংস বিপর্যয়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে মুশফিকুর-তৌহিদ হৃদয়ের (৩৯) ৪৩ রানের পার্টনারশিপ ছিল স্রেফ হারের ব্যবধান কমানোর।
ইংরেজ বোলারদের মধ্যে রিস টপলে একাই ৪ উইকেট দখল করেন। জোড়া উইকেট নেন ক্রিস ওকস। স্যাম কুরান, আদিল রশিদ, মার্ক উড এবং লিভিংস্টোন একটি করে উইকেট দখল করেন।
টসে জিতে ধর্মশালায় ইংল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান বাংলাদেশি ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান। কৌশল ছিল একটাই। আগের আফগানিস্তান ম্যাচের মতই সাকিব-মেহেদিদের ঘূর্ণিতে ইংরেজদের নাস্তানাবুদ করা। তবে এদিন আর সেই ট্যাকটিক্স খাটেনি। ওপেনিংয়ে নেমে জনি বেয়ারস্টো এবং দাবিদ মালান যে ঝড়ের সূচনা করেছিলেন, তা আগাগোড়াই বজায় ছিল। প্রথম জুটিতেই দুজনে ১১৫ তুলে দেন। ১৮তম ওভারে বেয়ারস্টোকে (৫২) সাকিব ফেরালেও জো রুট এসে যোগ দেন রান বন্যায়। দ্বিতীয় উইকেটে মালান-রুট মিলে কার্যত ছেলেখেলা করেন বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ে।
দুজনে ১৫১ রানের জুটিও গড়ে যান। মালান মেহেদি হাসানের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন। শেষদিকে ইংল্যান্ডের ইনিংস অবশ্য সেই ছন্দ বজায় রাখতে পারেনি। ৪০ ওভারের মধ্যেই তিনশো তুলে ফেলা ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা ভাবা হচ্ছিল চারশোর কমে থামবেন না। তবে শেষদিকে পরপর উইকেট হারানোয় রান তোলার গতি বাধাপ্রাপ্ত হয়। ২৯৬/৩ থেকে ইংল্যান্ড শেষমেশ ৩৬৪/৯-এ ফিনিশ করে। ৬৮ রান যোগ করার ফাঁকে ইংল্যান্ড ৭ উইকেট হারায়। বাংলাদেশের হয়ে ৪ উইকেট দখল করেন মেহেদি হাসান। ৩ উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম।