চলতি বিশ্বকাপে অপ্রতিরোধ্য ভারত। থামানোই যাচ্ছে না টিম ইন্ডিয়াকে। বিশ্বের সমস্ত দল ভারতের সামনে কার্যত পিষে যাচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকাও মাত্র ৮৩ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছে ভারতের কাছে ইডেনের মাটিতে বশ্যতা শিকার করেছে। গ্রুপ পর্বে ভারত টানা আট জয় পেয়ে একনম্বর স্থানে থাকাও নিশ্চিত করে ফেলেছে রবিবার।
তবে ভারতের অপ্রতিরোধ্য ফর্ম নিয়ে এবার সন্দেহ প্রকাশ করলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার হাসান রাজা। বলে দিলেন, ডিআর এস-এ কারচুপি ঘটিয়ে জিতছে ভারত। পাকিস্তানের স্থানীয় এক নিউজ চ্যানেলে বিস্ফোরকভাবে ৪১ বছরের পাক ক্রিকেটার বলে দিয়েছেন, "আজ তো জাদেজাও পাঁচ উইকেট নিয়ে নিল। এক ইনিংসে যা ওঁর কেরিয়ারের সেরা। আমরা প্রযুক্তি নিয়ে কথা বলছি যেখানে ডিআরএস নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকান আসল ব্যাটার ভ্যান দার ডুসেন। বাঁ হাতি স্পিনারের বল টার্ন নেওয়ার পর যেকোনও জায়গায় যেতে পারে। লেগ স্ট্যাম্পে বল পিচ করার পর সেই বল কীভাবে মিডল স্ট্যাম্পে ধেয়ে আসে? ইমপ্যাক্ট ইন লাইন ছিল। আর বল লেগ স্ট্যাম্পে যাচ্ছিল।"
"এই বিষয়ে সকলে। নিজেদের মতামত দিচ্ছে। আমার মতামত খুব স্পষ্ট। এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হোক। ডিআরএস-এ কারচুপি করা হচ্ছে। সেটা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এটাই প্ৰথম বিতর্কিত ডিআরএস ছিল না। আগের দুটো-তিনটে রিভিউ দেখো! এরপরে পাকিস্তানের কথা বলব। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কতটা ক্লোজ ম্যাচ হল। লাস্ট উইকেটের পার্টনারশিপ হল। আর ওঁরা ক্ষমাও চাইল না। হোম কন্ডিশনের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার জন্য এটা করা হচ্ছে।"
বিশ্বকাপের দুর্নীতি নিয়ে এর আগেও সরব হয়েছিলেন হাসান রাজা। বিতর্কের উত্তাপ ছড়িয়ে বলে দিয়েছিলেন, আইসিসি, বিসিসিআইয়ের তরফে আলাদা বল দেওয়া হচ্ছে ভারতকে। যাতে শামি-সিরাজরা বেশি সুইং আদায় করে।
পাকিস্তানের নামি চ্যানেল এবিএন নিউজে বিশ্বকাপ চলাকালীন বিশেষজ্ঞের ভূমিকা পালন করছেন হাসান রাজা। তাঁকে ভারতের পেসারদের উত্তুঙ্গ বোলিংয়ের রহস্য জানতে চাওয়া হয়। সেখানেই তিনি বিতর্ক বাড়িয়ে বলে দেন, গোটা ঘটনার তদন্ত করা হোক।
"আমরা দেখতে পাচ্ছি, ভারত যখন ব্যাটিং করছে তখন রীতিমত ভালো ব্যাটিং করছে। তবে ভারতের বোলিং করার সময়েই বল যেন কথা বলছে। ৭-৮ টা ডিআরএস কল হচ্ছে। সবক'টিই ভারতের পক্ষে যাচ্ছে। যেভাবে শামি-সিরাজ বল সুইং করছে, মনে হচ্ছে আইসিসি-বিসিসিআইয়ের তরফে অন্য বল ভারতকে দেওয়া হচ্ছে। বল নিয়ে বলে হয় তদন্তের প্রয়োজন হয়। বলের ওপর অতিরিক্ত কোটিং দেওয়া হচ্ছে কিনা, দেখতে হবে।"